চিনি বেশি খেলেই কি ডায়াবেটিস হয়!

চিনি বেশি খেলেই কি ডায়াবেটিস হয়!

স্বাস্থ্যের কথা


আমাদের অগ্ন্যাশয়ের বিটা সেলগুলো ইনসুলিন উৎপাদন করে। যখন ইনসুলিন উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয় বা ইন্সুলিন উৎপাদন করতে অপারগ হয়, তখন শরীরের শর্করা বা গ্লুকোজগুলোর কোষীয় মেটাবলিজমে সমস্যা তৈরি হয়।

শর্করা বা গ্লুকোজ শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি খাদ্যের উপাদান। আমরা এর মাধ্যমে শক্তি পেয়ে থাকি।  এই শক্তি অব্যবহৃত থেকে যায় যদি গ্লুকোজ গুলো কোষের প্রয়োজনীয় জায়গায় পৌঁছাতে না পারে। তাহলে গ্লুকোজ মেটাবলিজমের জন্য ইনসুলিনের একটা বিশাল ভূমিকা শরীরের রয়েছে।

তাহলে দেখা যাচ্ছে, ইনসুলিন এর ঘাটতি/ অপর্যাপ্ততাই ডায়াবেটিস এর মূল কারণ।

এবারে আসুন চিনির কথা ধরুন, চিনি খেলে ডায়াবেটিস হবে বা চিনি বেশি খেলে ডায়াবেটিস হয়ে যেতে পারে এরকম একটা কথা থেকে যায়। এক্ষেত্রে পরীক্ষা -নিরীক্ষা করে দেখতে হবে ইনসুলিনের পর্যাপ্ততা, বংশগতভাবে ডায়াবেটিস রোগ ছিল কিনা? বর্তমানে শরীরের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কত একটি স্বাভাবিক মান ৬, একে নরমাল রেঞ্জ পর্যন্ত ধরা হয় খালি পেটে।

তাহলে আপনাকে ভাবতে হবে এই যে, শর্করাকে ব্যবহার করার জন্য শর্করা কোষের নির্ধারিত সেলে পৌছিয়ে এর থেকে শক্তিতে রূপান্তর করার মতো পর্যাপ্ত ইনসুলিন শরীরে তৈরি হচ্ছে কিনা! এবং বংশগতভাবে যদি ইতিহাস থেকে থাকে তাহলে রুটিন চেকআপের জন্য যেকোনো ডায়াবেটিক সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারেন।


যদিও আমরা জানি চিনি সরাসরি টাইপ 2 ডায়াবেটিস সৃষ্টি করে না, তবে আপনার ওজন বেশি হলে এটি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আপনি যখন আপনার শরীরের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করেন তখন আপনার ওজন বৃদ্ধি পায় এবং চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয়গুলিতে প্রচুর ক্যালোরি থাকে। 

লাইফ-স্টাইল মডিফিকেশনের মাধ্যমে ডায়াবেটিক রোগীর সমস্যাগুলো অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

প্রতিদিন কি পরিমাণ শর্করা এবং খাদ্যের অন্যান্য উপাদান গ্রহণ করতে হবে সেটা যেকোন নিউট্রিশনিস্ট এর কাছে গেলে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিবেন। সেটা সম্ভব না হলে,  দৈনিক খাদ্য তালিকা »  থেকে জেনে নিন।


চিনি খুব দ্রুত রক্তে শর্করা বাড়িয়ে দেয়। আপনি যখন চিনি / সুক্রোজ খান, তখন আপনার রক্তপ্রবাহে শোষিত হওয়ার আগে গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ অণুগুলি আপনার ছোট অন্ত্রের এনজাইম দ্বারা পৃথক হয়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় এবং আপনার অগ্ন্যাশয়কে ইনসুলিন মুক্ত করার সংকেত দেয়।


টাইপ 1 এবং টাইপ 2 ডায়াবেটিস উভয়েরই একটি জেনেটিক উপাদান রয়েছে, তবে একটি ট্রিগারও থাকা দরকার যা সেই জেনেটিক ঝুঁকি নেয় এবং এটিকে ডায়াবেটিসে পরিণত করে। টাইপ 1 ডায়াবেটিসের সাথে, গবেষকরা জানেন না ট্রিগার কি।কিন্তু টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জেনেটিক উপাদান থাকলে তার ট্রিগার হল অতিরিক্ত ওজন, স্থূলতা এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা। বাড়তি চিনি এই স্থূলতার ট্রিগার মাত্র।

আশা করি বুঝাতে পেরেছি।




ধন্যবাদ আশা করি বুঝতে পেরেছেন। 

মন্তব্যসমূহ