বিপাক ও পরিপাকের মধ্যে পার্থক্য কি

বিপাক ও পরিপাকের মধ্যে পার্থক্য কি

বিপাক ও পরিপাক


পরিপাক এবং বিপাকের মধ্যে পার্থক্য কী? পরিপাক হল একটি প্রক্রিয়া যেখানে খাদ্য অন্ত্রে, দ্রবণীয় পদার্থে খাবারের পরিবর্তনের মাধ্যমে ভেঙে ক্ষুদ্র হয়ে যায়। বিপাক হল সেই প্রক্রিয়া যেখানে কোষ খাদ্য অনু হতে তার শক্তি ব্যবহার করে।

রান্নায় বিপাক কি?# বিপাক: খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তর করা।

রান্নায় পরিপাক কি ? রান্না করা প্রোটিনগুলিকে বিকৃত করে, জট আলগা করে যাতে আমাদের এনজাইমগুলি আরও বেশি খাদ্য অণুতে পৌঁছাতে পারে। কাঁচা মাংসের প্রোটিন অণুগুলি রান্না করার সময় আলগা হয়ে যায়, যা তাদের হজমকারী এনজাইমের কাছে আরও অ্যাক্সেসযোগ্য করে তোলে।

একটু খুলে বলি। বিজ্ঞানে পাক বা রান্না হলো রাসায়নিক বিক্রিয়া।

বিপাক হলো - বিশেষ পাক বা রান্না। ( বিশেষ ধরণের পাক বা রান্না)

পরিপাক

(পরি+পাক): পরিপাক নালিতে পাক বা রান্না।

খাদ্য গ্রহণের পর খাদ্যনালী তে প্রথমে পরিপাক হয়ে তারপর দেহের কোষে গিয়ে বিপাক সংঘটিত হয়।



বিপাকের সাথে জড়িত প্রাথমিক অঙ্গগুলির মধ্যে রয়েছে অন্ত্র, লিভার, অ্যাডিপোজ টিস্যু, অগ্ন্যাশয়, কিডনি এবং পেশী। বিপাকীয় নিয়ন্ত্রণের সময়, এই অঙ্গগুলি হরমোন এবং মরফোজেন দ্বারা নির্গত বিভিন্ন সংকেত পথের মাধ্যমে যোগাযোগ করে, যা শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তির যথাযথ পরিমাণ প্রদান করে।

পরিপাকনালীতে কী ঘটতে পারে?

আমাদের পরিপাকতন্ত্রে একটা জটিল ও বড় খাবার ভেঙ্গে সরল হয়। এতটুকুই ঘটে পরিপাকনালিতে। এতটুকুই হলো পরিপাক।

ছোট্ট উদাহরণ দিইঃ


  • ভাত (স্টার্চ / জটিল) ভেঙ্গে গ্লুকোজ (সরল) হয়।
  • দুধ (ল্যাকটোজ) ভেঙ্গে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ হয়।
  • প্রোটিন ভেঙ্গে অ্যামাইনো এসিড হয়।>
  • লিপিড ভেঙ্গে ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারল হয়।

প্রশ্ন : খাদ্য আহারের পর শর্করা পরিপাক হয়ে কিসে পরিণত হয়?

গ্লুকোজে। শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট পরিপাক মুখ (মৌখিক গহ্বর) এবং ছোট অন্ত্রে হয়। শর্করার প্রায় ৪০% স্টার্চ আংশিকভাবে ptyalin ( মুখের স্যালিভারি অ্যামাইলেজ) দ্বারা পরিপাক হয় এবং অবশিষ্ট ৬০% স্টার্চ অন্ত্রের অগ্ন্যাশয়ের অগ্ন্যাশয় অ্যামাইলেজ নিঃসরণ দ্বারা পরিপাক বা হজম হয়।

আমিষ জাতীয় খাদ্য পরিপাক / হজমে সাহায্য করে কে?


প্রোটিন শোষণ করার সেরা উপায় কি? প্রোটিন শোষণ বাড়ানোর জন্য এই ৫ টি টিপস চেষ্টা করুন - এনজাইম সমৃদ্ধ + গাঁজনযুক্ত খাবার যোগ করুন। ... দিনের শুরুতে পশু প্রোটিন খান। ... ছোট অংশ চেক রাখুন. ... পাচক তিক্ত এবং এনজাইম চেষ্টা করুন. ... "বিশ্রাম এবং ডাইজেস্ট" এ যান।

দুটি প্রধান অগ্ন্যাশয় এনজাইম যা ছোট অন্ত্রে প্রোটিন হজম করে তা হল কাইমোট্রিপসিন এবং ট্রিপসিন। ট্রিপসিন প্রোটিজ নামক প্রোটিন-পাচনকারী এনজাইমগুলিকে সক্রিয় করে এবং একসাথে, এই এনজাইমগুলি প্রোটিনগুলিকে ট্রাই পেপটাইডস, ডাই পেপটাইডস এবং স্বতন্ত্র অ্যামিনো অ্যাসিডে ভেঙে দেয়।

চর্বি জাতীয় খাদ্য পরিপাক / হজমে সাহায্য করে কে?


লিপিড শোষণের মধ্যে অন্ত্রের লুমেনে খাদ্যতালিকাগত চর্বি হাইড্রোলাইসিস হয় এবং এন্টারোসাইট দ্বারা হাইড্রোলাইজড পণ্য গ্রহণ করা হয়।

চর্বি পরিপাক মৌখিক গহ্বরে লিঙ্গুয়াল লিপেসেসের সংস্পর্শে শুরু হয়, যা জিহ্বার গ্রন্থি দ্বারা নিঃসৃত হয়। পাকস্থলীতে, গ্যাস্ট্রিক লাইপেজ ট্রায়াসিলগ্লিসারলগুলিকে ডাই গ্লিসারাইড এবং ফ্যাটি অ্যাসিডে ভেঙে ফেলতে শুরু করে।



কিভাবে শরীরে চর্বি জমে? আপনি যখন অনেক বেশি ক্যালোরি খান এবং পর্যাপ্ত শারীরিক কার্যকলাপ না করেন তখন ভিসারাল ফ্যাট জমা হয়।
শরীরের কোন অংশে প্রথমে চর্বি হয়? মানুষের ওজন বাড়ার সাথে সাথে অতিরিক্ত চর্বি পেটের চারপাশে কেন্দ্রীভূত হতে থাকে, সাধারণত তলপেটের অংশ থেকে শুরু হয় এবং অন্য অংশে কাজ করে

ফ্যাটি এসিড তেল বলে তা অন্ত্রের জলে মিশে না, তাহলে রক্তে কীভাবে মিশবে সে। কিন্তু শরীরের ত চর্বি প্রয়োজন। ব্রেইন,নার্ভ, হৃদপিন্ড কে রক্ষা করে চর্বি স্তর। তাই সমাধান হল পিত্ত রস।

পিত্ত চর্বিকে আকর্ষণ করে এবং ধরে রাখে যখন এটি একই সাথে জলের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং ধরে থাকে। এটাই হল ইমালসিফিকেশন।

অগ্ন্যাশয় লিপেজ ছোট অন্ত্রে প্রবেশ করে, এটি চর্বিগুলিকে বিনামূল্যে ফ্যাটি অ্যাসিড এবং মনোগ্লিসারাইডে ভেঙ্গে দেয়।

তারপরও চর্বি রক্তে পৌঁছাতে পারেনা। পিত্ত লবণ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং মনোগ্লিসারাইডগুলিকে আবদ্ধ করে Micelles গঠন করে। এই মজার Micelles হল চর্বি অনুর বাহিরে পিত্তের প্রলেপ যেটা জল দ্রবনীয় ফলে এটি অন্ত্রের মাইক্রোভিলাসে দক্ষ পরিবহনের অনুমতি দেয়।

এগুলোই হলো পরিপাক।



বিপাকঃ

মেটাবলিজম কাকে বলে

বিপাক বা বিশেষ পাক ঘটে আমাদের শরীরের কোষের ভেতর।

পরিপাক হবার পর (পরিপাক নালিতে) সরল অনুগুলো রক্তের মাধ্যমে কোষের ভেতরে চলে আসে। এবার সরল অনুগুলো (গ্লুকোজ, ফ্রুক্টজ, গ্যালাকটোজ, অ্যামিনো এসিড, ফ্যাটি এসিড, গ্লিসারল) বিভিন্ন বিক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি (ATP) উৎপন্ন করে।

অথবা-

অতিরিক্ত গ্লুকোজগুলো গ্লাইকোজেন তৈরি করে জমা থাকে।

অথবা-

অথবা ফ্যাটি এসিড গ্লিসারলরা TAG (ট্রাই-অ্যাসাইল-গ্লিসারল) তৈরি করে।

এসব জটিল চক্রের মতো বিক্রিয়াকে একত্রে বলা হয়- মেটাবলিজম। মেটাবলিজম শব্দের অর্থই বিপাক।

কোষের ভেতরে গ্লুকোজ, অ্যামিনো এসিড বা ফ্যাটি এসিড গ্লিসারলরা বদলে গিয়ে নতুন যৌগ বা শক্তিতে রুপান্তর হচ্ছে, এটাই হলো রুপান্তর বা বদলে যাওয়া বা মেটাবলিজম। আমাদের বইয়ের ভাষায় এটাই হল- বিপাক।

একজন মানুষের বিশ্রামকালে তার শরীর বৃত্তীয় (মূলত ব্রেইন, ফুসফুস, হার্ট, কিডনি) কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য ঘন্টা অনুপাতে ন্যূনতম যে ATP বা শক্তির প্রয়োজন হয় সেটাই হলো তার BMR বা মূল বিপাকীয় হার।

বিপাকে আসলে বিপাক হার নির্ভর করে পেশীর গঠন, শারীরিক কাঠামো ইত্যাদির ওপর। ঘুম, ক্যালোরি গ্রহণ ইত্যাদির ওপরও শরীরের বিপাক হার অনেকটাই নির্ভরশীল। তাই নারী ও পুরুষ উভয়ের বিপাক হার এক ভাবলে, সে ধারণা ভুল।

মেটাবলিজম বেশি হলে কি হয়


বিপাক বা মেটাবলিজম বেশি হলে বেশি ক্যালোরি বার্ন হয়, খাদ্য দ্রুত হজম হয়ে শক্তিতে রূপান্তরিত হয় এবং শরীরে মেদ বা চর্বি জমতে পারে না।

আমাদের শরীরের কতটা ক্যালোরি (Calorie) পুড়েছে, তা নির্ভর করবে মেটাবলিজমের হারের উপর। শুধু তা-ই নয়, রক্তচাপ, কোলস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের ভারসাম্যও বজায় রাখে মেটাবলিজম। আর মেটাবলিজম যত বাড়বে, শরীর তত বেশি ক্যালোরি ঝরাবে।

মেটাবলিজম কমলে কি হয়


কিন্তু আমরা অনেকেই হয় তো জানি না, আমাদের রোজকার কিছু সাধারণ অভ্যেস মেটাবলিজমের হার কমিয়ে দেয়। যেমন অধিক কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার ও কম প্রোটিন আপনার মেটাবলিজম বা বিপাকের হার কমিয়ে দেয়।

মেটাবলিজমের মাত্রা যত কম হয় ওজন ততটাই বৃদ্ধি পায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে অকারণে ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণটি হলো, বয়স বৃদ্ধির পাওয়ার ফলে মেটাবলিজমের হার কমে যেতে থাকে প্রাকৃতিকভাবেই। নির্দিষ্ট একটি বয়স পর্যন্ত মেটাবলিজমের হার শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী স্বাভাবিক থাকে।

আমরা যে খাদ্য গ্রহণ করি তা শরীর তিনভাবে খরচ করে:



কিছু খাবারে নির্দিষ্ট পুষ্টি থাকে যা বিপাক বৃদ্ধি করে, যে হারে শরীর অন্যান্য প্রক্রিয়ার মধ্যে ক্যালোরি পোড়ায়। ডিম, ফ্ল্যাক্স বীজ, মসুর ডাল , পেঁপে এবং মরিচ এমন কিছু খাবার যা বিপাককে বাড়িয়ে তুলতে পারে।

১, বিপাকের জন্য ( বিশ্রামকালীন শারীরবৃত্তীয়) শক্তিক্ষয় ( ৫০% প্রায়)

২, পরিপাকের জন্য শক্তিক্ষয় ( ১০% প্রায়) ও

৩, শারীরিক কাজের জন্য শক্তিক্ষয় ( ২০%) ।

এত শক্তিক্ষয় করার পরেও যে বাড়তি শক্তি বা ক্যালরি শরীরে রয়ে যায় , তাই ফ্যাটি এসিড বা মেদ হিসেবে জমে।

যেমনঃ কেউ প্রতিদিন তার প্রয়োজনের চেয়ে একটি বিস্কুট অতিরিক্ত খায় , বছর শেষে বারো কেজি ওজন বাড়বে তার।



বাড়তি মেদ জমার সাথে বিপাকের কি সম্পর্ক?


মেটাবলিজমের মাত্রা যত কম হয় ওজন ততটাই বৃদ্ধি পায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে অকারণে ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণটি হলো, বয়স বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে মেটাবলিজমের হার কমে যেতে থাকে প্রাকৃতিকভাবেই। আপনি চাইলে এটা উল্টাতে পারেন হাল্কা ব্যায়াম দ্বারা।

কারো বিপাক দ্রুত কিংবা মন্থর , সেটা মেদ জমার সাথে সম্পর্ক হীন।

সাধারণত শরীরের বিপাক হার বাড়লে মেদ কমে। এই সূত্রটিকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত মেদ কমাতে অনেকেই বিপাক হার অস্বাভাবিক হারে বাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এই বিপাক হার বাড়ানো নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা ভুল ধারণা রয়েছে।

অনেক কোম্পানি গ্রীন টি, কফি ইত্যাদির বিজ্ঞাপন দেন, যা মেটাবলিজম বাড়িয়ে শরীরের মেদ কমায়।

অনেকেই মনে করেন মেদ কমাতে বেশি বেশি গ্রিন টি খাওয়া উচিত। কিন্তু আসল কথা হলো গ্রিন টির কারণে বিপাক হার বাড়লেও বেশি বেশি গ্রিন টির কারণে যে বিপাক হার বেড়ে মেদ কমাবে এমনটা নয়। তাই দিনে দুই বারের বেশি গ্রিন টি খাওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।

আরেকটি ভুল ধারণা হলো কার্ডিও এক্সারসাইজের সঙ্গে বিপাক হারের অনেক বেশি সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু মূল বিষয় হলো এই দুটি বিষয়ের তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। কার্ডিও এক্সারসাইজ যেমন দৌড়ানো, সাঁতার, জগিং, সাইক্লিং এ সব নিয়মিত অভ্যাসে ওজন কমে ঠিকই। কিন্তু এর সঙ্গে বিপাক হার বাড়ানোর-কমানোর কোনো সম্পর্ক নেই।

ক্যালোরি পোড়াতে যেটুকু ভূমিকা এর রয়েছে, তার প্রভাবেই ঝরে মেদ। বিপাক হার বাড়াতে পারে ভেবে বাড়াবাড়ি রকমের কার্ডিও এক্সারসাইজ করলে শরীর ক্লান্ত হবে ও অন্যান্য জটিলতাও দেখা দেবে। এজন্যই অনেক সময় দেখা যায়, নিয়ম মেনে ডায়েট, ব্যায়ামের পরেও অনেক ক্ষেত্রে সে ভাবে ওজন কমে না।

আরেকটি ভুল ধারণা হলো কম খেলেই বিপাক হার বাড়বে। ওজন কমানোর প্রশ্ন হোক বা বিপাক হার বাড়ানো, কম খাওয়া কোনোভাবেই বিজ্ঞানসম্মত নয়। বরং কম খেয়ে ওজন কমানোর মতো অবৈজ্ঞানিক কিছুই হয় না। তিন ঘণ্টা অন্তর একটু একটু করে খেতে হবে। কম খেলে শারীরিক ক্লান্তি, গ্যাসট্রাইটিসের সমস্যা যেমন আসবে তেমনই খালি পেট মেদের পরিমাণও বাড়িয়ে দেবে।



নারী-পুরুষের বিপাক হার

গর্ভাবস্থায়, মহিলারা বেশি পরিমাণে চর্বি সঞ্চয় করে যা শুধুমাত্র বর্ধিত শক্তি গ্রহণের জন্য দায়ী করা যায় না। এই পর্যবেক্ষণগুলি পরামর্শ দেয় যে ক্যালোরি খাওয়া এবং ব্যবহৃত ক্যালোরির মধ্যে সম্পর্ক পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে আলাদা। শক্তি বিপাকের এই লিঙ্গ পার্থক্যের কারণ জানা যায়নি;

নারী-পুরুষের বিপাক হার কী আলাদা


পুরুষ এবং মহিলাদের বিপাকীয় হারের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। যাইহোক, ব্যক্তিদের বিপাকীয় হার তাদের বয়স এবং আকারের জন্য গড় বিপাক হারের তুলনায় ২৫% ধীর বা ২৫% দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে।

এই ধারণাও অত্যন্ত ভুল। সম ওজনের নারী ও পুরুষের বিপাক হার মোটেও এক হবে না। পুরুষের বিপাক বেশি বলে একই খাবার সমপরিমাণ খেলে নারীর মেদ জমবে পুরুষের চেয়ে বেশি।



মেটাবলিজম কমানোর উপায় কি? মেটাবলিজম কমানোর কোন উপায় নেই, কারণ দেহের ধরণ অনুযায়ী মেটাবলিজম হার হয়ে থাকে। তবে মেদ-চর্বি না জমলেও ওজন বাড়ানো সম্ভব, চর্বি কিংবা মাসেল মাস বাড়ানোর মাধ্যমে।

মোটা হতে গেলে প্রথমেই এই মেটাবলিজম হার কমাতে হবে। তাতে আপনি যে খাবারটা খাবেন, সেটা বাড়তি ওজন রূপে আপনার শরীরে জমার সুযোগ পাবে। মেটাবলিজম হার কম রাখার জন্য প্রতিবেলা খাবারের পর লম্বা সময় বিশ্রাম করুন। খাবার পর কমপক্ষে ১ ঘণ্টা কোনও কাজ করবেন না।



বিপাক বৃদ্ধির প্রতিকার


মেটাবলিজম বৃদ্ধির উপায় কি? দিন তাড়াতাড়ি শুরু করুন। একটি স্বাস্থ্যকর দিন শুরু করার জন্য রাতে ঘুম ভালো হওয়া জরুরি যা বাড়ায় মেটাবোলিজম।

উপরের শক্তিক্ষয় অংশটি দেখুন, রেস্টিং bmr বা বিশ্রামকালীন শক্তিক্ষয় ৫০% এবং শারীরিক কাজের জন্য শক্তিক্ষয় ২০% প্রায়।

ফ্যাটি কোষের চেয়ে মাসল কোষের বেশি ATP বা শক্তির প্রয়োজন হয়। তাই যার মাসল বেশি তার বিপাক ক্রিয়াও দ্রুত।

বয়স বাড়ার সাথে মাসল কমে যায়, তাই তার বিপাক ক্রিয়া ও মন্থর হয়ে পড়ে।

কেউ যদি মেদ জমা কমাতে চায় তবে ঘন ঘন এমন খাবার গ্রহণ করতে হবে যার ক্যালরি কম এবং সাথে শারীরিক কাজ বাড়াতে হবে। কম ক্যালরির খাবার বিশ্রামকালীন মেটাবলিজম কে শক্তির জন্য ফ্যাট সেলের উপর নির্ভর করাবে ও ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করবে।

সাথে কায়িক পরিশ্রম আরো কিছু ফ্যাট বার্ন করাবে।

এভাবে দুয়ের সমন্বয়ে পাবেন কাঙ্খিত মেদহীন সুস্বাস্থ্য। পড়ার

জন্য ধন্যবাদ।



টেস্টোস্টেরন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (TRT) কী⁉️ 👉




ভায়াগ্রা কীভাবে নেয়⁉️👉



সূত্রঃ

Principles of Digestion and Metabolism

মন্তব্যসমূহ