ব্যবসায়ীদের তৈরী গ্রাহকদের জন্য সফ্টওয়্যারে কেনাকাটাগুলিকে একটি বাড়ি না দেখা বাড়ী বা পণ্য কেনার মতোই মনে হয়। মনোযোগের সাথে কেনাকাটি না করলে সফ্টওয়্যারগুলো একটি মাইনফিল্ড, অনেক গ্রাহক ভুল ভাবে ক্রয় করে এবং টাকা নষ্ট করে অপ্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট কিনে, যেমন আমি চেয়ারের ছবি দেখে অর্ডার দিয়ে চেয়ার কাভার পেয়েছি।
ব্যবসায়ীদের নোংরা কৌশলগুলো
এই লেখায় বর্ণিত কৌশলগুলি সূক্ষ্ম প্ররোচনা থেকে সরাসরি প্রতারণা পর্যন্ত। যাইহোক, তারা সকলেই আক্রমনাত্মক বিক্রেতাদের উপর নির্ভর করে অজ্ঞাত গ্রাহকদের থেকে সুবিধা নিয়ে নেয় । শেষ পর্যন্ত, সতর্কতা প্রযোজ্য এবং ভুল হতে শিক্ষা নেয়া এই পথে সাফল্য অর্জনের জন্য মহান শক্তি।
বিক্রেতাদের কৌশল
আপনি বিক্রেতাদের এই কৌশল বা অন্যদের খেলা দেখেছেন? আপনার চিন্তা শেয়ার করুন আমাদের সাথে ।
অনাদিকাল থেকে, প্রতিটি ব্যবসায়িক উদ্যোগের কার্যকারিতা হল বেশ কয়েকটি সামঞ্জস্যপূর্ণ রাজস্ব অর্জনের উদ্দেশ্য।
একাধিক পরিষেবা এবং বস্তুগত পণ্য বিক্রি করা – যা পরবর্তীতে সমস্ত উত্পাদন এবং বিতরণ ব্যয় (ওভারহেড) বাদ দিয়ে লাভে রূপান্তরিত হয়।
আধুনিকতা, মুক্ত বাজার, পুঁজিবাদের পদ্ধতিগত অর্থনৈতিক প্রশাসন ও বন্টনের কথিত 'সেরা' মোড হিসাবে, শুধুমাত্র এই মৌলিক বাণিজ্যিক নীতিটি সাধারণ মানুষের জীবনে প্রবেশ করাতে হবে।
এটি একটি প্রবণতা যা একটি স্পেকট্রামের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। যেমন, প্যাকেজ ইন্টারনেট সাবস্ক্রিপশন।
ফ্রি ডাটা তবে বড় অংকের রিচার্জ করতে হবে!
সাধারণ 'নোংরা' ব্যবসায়িক কৌশলগুলির একটি তালিকা দিলাম যা এর মধ্যে এই ধরনের শোচনীয় অভ্যাসগুলি অন্তর্ভুক্ত :
১,মূল্য একচেটিয়াকরণ /ফিক্স দাম
(এটি নিয়মিতভাবে চীনামাল বিক্রির কৌশল),
কালো বাজারে অবৈধ স্বাস্থ্য পদার্থের বিক্রয়, বিভিন্ন সেক্স পণ্য (তাত্ক্ষণিক লাভের জন্য),
এবং গোয়েন্দা ক্যামেরা, যা বড়জোড় এক সপ্তাহ চলবে না।
২, অ্যাকাউন্ট অডিটিং অসঙ্গতি
(বিভ্রান্তিকর পরিসংখ্যান/রিপোর্টের মাধ্যমে তারা পণ্যগুলো প্রচার করবে, বিজ্ঞাপন নিয়োগের মাধ্যমে নির্দিষ্ট রাজস্ব স্ট্রিমগুলি পরিহার করে অন্য অনলাইনে নিশ্চিত কার্যকর অথচ গ্যারান্টিহীন পণ্য বিক্রয় করবে ),
৩, বাণিজ্যিক ব্ল্যাকমেইলের সরাসরি উদাহরণ।
কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজি ১০০০ টাকা
সমস্ত ব্যবসায় তাদের লক্ষ্য ভোক্তা জনসংখ্যার মধ্যে প্রভাবশালী বাণিজ্যিক খেলোয়াড়দের সদস্য করা। তাঁদের সদস্য হওয়ার প্রয়াসের (তাদের নিজস্ব শিল্প কৌশলের ভিতরে) পাশাপাশি (অন্যান্য পণ্য/পরিষেবা ডোমেনের মধ্য দিয়ে ) ব্যবসা বৃদ্ধি করা।
E-orange কর্তৃক খেলোয়াড় মাশরাফিকে ব্যবহার বা ইভ্যালি কর্তৃক গায়ক তাহসান -মিথিলার ইমেজ ব্যাবহার করে জনগণকে ধোঁকা দেয়ার কৌশল সরকার কেও বিভ্রান্ত করে।
একজনের বাণিজ্যিক স্বার্থ প্রসারিত করার চেষ্টা প্রায়শই , তা বোঝা কঠিন নয়। কেন কিছু প্রধান সাংগঠনিক কর্মকর্তা (একটি নির্দিষ্ট দল সহ শ্রদ্ধেয় 'উচ্চপদ' যারা পর্দার আড়ালে থেকে কাজ করেন , খেলোয়াড়, সেনা সদস্য, নায়ক ) সময়ে সময়ে এই ধরনের নিন্দনীয় সের আশ্রয় নিতে পারে। ডেস্টিনি, ইউনিপে, মূলত চিনাদের দ্বারা বিকশিত প্রতিষ্ঠান।
৪, মূল্য একচেটিয়াকরণ,
সমস্ত প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়িক সত্ত্বা স্বাভাবিকভাবেই তাদের শিল্প সমবয়সীদের তুলনায় একটি অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা অর্জনের চেষ্টা করে এবং তাদের বৃদ্ধি বিস্তৃত আকারের বিবেচনার ভিত্তিতে, তাদের শর্তে একটি পণ্য বা পরিষেবার জন্য বাজার মূল্য নির্ধারণ করার চেষ্টা করতে পারে। এই সেট মূল্য নির্ধারণের প্যারামিটারটি তার ক্রিয়াকলাপগুলির জন্য লাভজনকতার একটি আপেক্ষিক মার্জিন নিশ্চিত করে চলতে পারে, একই সময়ে শিল্পে নতুন প্রবেশকারীদের জন্য বাজারের বিপর্যয় বানান তারা ।
Lux সাবান অন্য সাবানগুলোকে বিপদে ফেলতে অনেক সময় বিশাল মূল্য ছাড় দেয়। এতে ছোট কোম্পানি গুলো বিপর্যস্ত হয়ে পরে ও উক্ত ছোট কোম্পানির সাবানের কাস্টমার ও তার প্ৰিয় পণ্য ত্যাগ করেন।
৫, ড্যামপিং,
আরও আরেকটি নোংরা ব্যবসায়িক অভ্যাস, যেটি নিয়মিতভাবে চীনা এবং কিছু উন্নয়নশীল দেশ খুব সস্তা শ্রমশক্তি দিয়ে নিযুক্ত করে, তা হল ডাম্পিং। এর মধ্যে একজনের পণ্য এবং পরিষেবাগুলি এত কম দামে বিক্রি করা হয় (প্রায়শই প্রাথমিক মুনাফা হ্রাসের ঝুঁকিতে) যা অন্যান্য শিল্প প্রতিযোগীরা বজায় রাখার আশা করতে পারে না।
অবৈধ স্বাস্থ্য পদার্থ/নিষিদ্ধ সামগ্রী বিক্রয়
প্রায়শই, সংগ্রামরত ব্র্যান্ড এবং কোম্পানিগুলি, তাদের ক্রিয়াকলাপগুলিকে কার্যকর রাখার প্রয়াসে, দ্রুত অর্থ সংগ্রহের জন্য ওষুধ এবং নিষিদ্ধ ওষুধের মতো অবৈধ পদার্থ বিক্রি করার চেষ্টা করে। এই গোপন পরিষেবার বিধানগুলি পর্দার আড়ালে পরিচালিত হয়, এবং আইনি যাচাই-বাছাই থেকে দূরে - এবং সাধারণভাবে প্রচারের কৌশল হিসাবে মুখের কথার উপর নির্ভর করে।
অনেক দেশে, জাতীয় সরকারগুলি কঠোর আইনের মাধ্যমে এই আইটেমগুলির বিক্রয়কে হ্রাস করার চেষ্টা করেছে; অনেক প্রতিষ্ঠিত কোম্পানী এই আইনী প্রয়োগের বিরুদ্ধে পিছনে ঠেলে (তাদের বিস্তৃত এবং ভাল-তথ্যযুক্ত লবিং উদ্যোগের মাধ্যমে) প্রবাদ 'তাদের গলায় ফাঁস' আলগা রাখার প্রয়াসে।
৬, ইচ্ছাকৃত অ্যাকাউন্টিং অসৎ আচরণ,
আজকাল, কোম্পানির হিসাবরক্ষকদের একটি খুব সাধারণ ব্যবসায়িক ঘটনা হিসাবে আসে যা মুনাফা অডিট রিপোর্টে চতুরতার সাথে টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করার সাথে জড়িত। এই 'সংখ্যা' পেশাদাররা তাদের অ্যাকাউন্টিং জার্নালগুলির মধ্যে বিভ্রান্তিকর পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করার মাধ্যমে এটি পরিচালনা করে, ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা সরকারী তদন্তের কাছ থেকে নির্দিষ্ট রাজস্ব স্ট্রিমগুলিকে 'আড়াল' করার প্রয়াসে।
কর ফাঁকি এবং বিক্রয় জালিয়াতির সংযুক্ত উদ্বেগগুলি এই ইস্যুটির আরও কুখ্যাত ফলাফল হিসাবে আসে৷
কোম্পানি, ফলস্বরূপ, অফিসে এই কর্মরত চোর পেশাদারদের অনিয়ন্ত্রিত ধারাবাহিকতার মাধ্যমে ধীরে ধীরে 'টাকা ফাঁস' করে - যা প্রভাবিত সংস্থাগুলিকে ধীরে ধীরে তাদের ন্যায্য লাভের শেয়ারগুলি হারাতে বাধ্য করে।
৭, বাণিজ্যিক ব্ল্যাকমেইল
বাণিজ্যিক ব্ল্যাকমেল সমস্ত ইচ্ছাকৃতভাবে জড়িত ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে যেখানে একটি বাণিজ্যিক সত্তা অন্যটিকে হুমকি দেওয়ার সাথে জড়িত থাকে, বা এর ভোক্তা জনসংখ্যাগত ভিত্তি ব্যাপকভাবে মূল্য বৃদ্ধি বা সরবরাহের ঘাটতি করে । এই ধরনের কৌশলগত নীতিগুলি তাদের গ্রাহকদের দর কষাকষির ক্ষমতা হ্রাস করার লক্ষ্যে, যারা পরবর্তীতে তাদের জন্য নির্ধারিত মূল্যে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পণ্য ও পরিষেবাগুলি অর্জন করতে বাধ্য হতে পারে। যেমন সিলিন্ডার গ্যাসের ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি ঘটে প্রকাশ্যে সিন্ডিকেট গঠনের মাধ্যমে।
এই সমস্যাটি, যখন সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করা হয়, তখন 'মূল্য একচেটিয়াকরণ'-এর ব্যবসায়িক ত্রুটির অধীনে বৃহৎ অংশে ঘটে ।
গ্রাহক পরিষেবা, নম্বর পরিষেবার মাধ্যমে একটি উচ্চ-গতির ইন্টারনেট প্ল্যান অর্জন করতে চাইলে, আপনার অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। শহর হতে একটু দূরে আপনি অনেকগুলি তথ্যমূলক নিবন্ধ অ্যাক্সেস করতে পারবেন না, যা এখানে আলোচনা করা হয়নি। গ্রাহক পরিষেবা চাইলে অযথা কাল ক্ষেপন করে আপনার জন্য মূল্য দিয়ে একজন গ্রাহক সেবী এমন কিছু তথ্য দেবেন যা কাজের নয়। অন্যান্য শোচনীয় ব্যবসায়িক কৌশল সম্পর্কে গ্রহক আরো করুন তথ্য প্রদান করে।
এই স্ব-কৌশলের প্রাথমিক পরিণতি খুবই খারাপ , আবার, সামগ্রিক বাজার প্রতিযোগিতা কমানোর জন্য - যা দীর্ঘমেয়াদে ভোক্তাদের বা তাদের বৃহত্তর জাতীয় অর্থনীতির জন্য ভালভাবে কাজ করে না।
ব্যবসায়ীদের আরো কিছু নোংরা কৌশল রয়েছে যা নিয়মিত ক্রেতাদের জানা উচিত।
এন্টারপ্রাইজ সফ্টওয়্যার বিক্রেতারা কখনও কখনও তাদের পণ্য বিক্রি করার জন্য অপ্রীতিকর গেম খেলে। এই কৌশলগুলি ডার্টি ভেন্ডর ট্রিকস নামে পরিচিত, যেটি প্রবীণ সাংবাদিক ড্যান টাইনানের লেখা, যিনি আইটি ব্যর্থতার অনেক গল্প কভার করেছেন৷কুৎসিত এন্টারপ্রাইজ সফ্টওয়্যার বিক্রয় কৌশল
এখানে ছয়টি কৌশলের তালিকা রয়েছে যা এন্টারপ্রাইজ বিক্রেতারা গ্রাহকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে, তবে আমার জানামতে :
১, ম্যাজিক ডেমো,
স্লাইড উপস্থাপনা এবং সাইনবোর্ড প্রদর্শন ব্যবহার করে, বিক্রেতা গ্রাহকের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সমস্যা সমাধানের দাবি করে। অথচ প্রতিশ্রুতি ব্যাক আপ করার জন্য কোন বাস্তব পণ্য না থাকলে ও সবকিছুই ভালো। কিন্তু সার্ভিস চাইতে গেলে বলে, এটি এখনো শুরু করেনি। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার ধানমন্ডির 'systec ' কম্পিউটার এ গিয়েছিলাম প্রোগ্রামিং শিখবো বলে। কিন্তু তারা বলছে, এখন তাদের ms word, excel, শেখানোর ক্লাস চলছে, ওসব প্রগ্রামিং হচ্ছেনা, কবে হবে জানেনা তারা।
২, মূল্যহ্রাস টোপ ,
তারপর অতিরিক্ত চার্জ। একটি সুন্দর কৌশল, প্রায়ই বিভিন্ন কোম্পানি দ্বারা মার্জিত খেলা । এই লোকেরা গ্রাহককে জানাতে অবহেলা করে যে প্রাথমিক ক্রয় মূল্য কত এবং পরিষেবাগুলির জন্য অনেক বেশি খরচ অন্তর্ভুক্ত করে ।
৩, গ্রাহকের গলাচিপা ,
সবচেয়ে চতুর কৌশলগুলির মধ্যে একটি, এটি গ্রাহকদের লগ -ইন করতে উচ্চ সুইচিং খরচ ব্যবহার করে। এন্টারপ্রাইজ সিস্টেম অদলবদল করার সময়, খরচ, এবং ঝামেলা মানে বিক্রেতারা তাদের গ্রাহকদের তথ্য আদায় করে নিয়েছে। ভাল, আপনি কি জানেন।
৪, "ভুল বিলিং "
সত্যিই এটি ইউটিলিটি পরিষেবার শেষ খেলা, ভুল চালান দিয়ে গ্রাহকদের অতিরিক্ত চার্জ করে, জেনেশুনে খুব কম লোকই হিসেব লক্ষ্য করবে এবং অভিযোগ করবে। তাই শ্রেষ্ঠ এই চালাকি। হোটেলের এবং মুদির দোকানের বিলে প্রায় আমি ভুল হিসেব দেখেছি।
৫, জোরপূর্বক আপগ্রেড এর মিছিল।
আপগ্রেডগুলি সফ্টওয়্যার ব্যবসাকে সুন্দর জিনিস করে তোলে -- বিক্রেতার জন্য৷ গ্রাহকের সিস্টেম ভাল কাজ করতে পারে, কিন্তু যখন বিক্রেতারা গ্রাহকদের জোর করে আপগ্রেড করতে বলে, তখন ক্রেতার কাছে নিজেকে খেলার পুতুল ছাড়া বিকল্প ভাবার থাকে না ।
অপ্রীতিকর সত্য হলো এটি একটি কৌশল, মনে রাখবেন দুটি পক্ষ রয়েছে: বিক্রেতা এবং গ্রাহক৷ অমনোযোগী বা অনভিজ্ঞ গ্রাহকদের প্রায়শই তাদের অনভিজ্ঞতার জন্য ঠকানো হয় ।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা :
পেশাগত কারনে কিছু জেলের সাথে পরিচয় ছিল। তারা রাত জেগে কর্ণফুলী নদীতে মাছ ধরে। একরাত তাদের সাথে কুবের মাঝির মত নৌকায় কাটিয়ে ছিলাম। কাছ থেকে দেখেছি তাদের কষ্ট ও ধৈর্য্য সহকারে মাছ ধরার কৌশল। নদীর তলদেশের বড় গলদা চিংড়ি শুধুমাত্র রাতে ধরতে হয় ।
সে যাহোক, মাছগুলোকে সকাল বেলা বাজারে মাছের গদিতে বিক্রি করতে নিয়ে যায় জেলেরা। মাছের গদির ব্যবসায়ীরা সেগুলো কিনে নেয় অন্য এক পাল্লায় ওজন করে। সচরাচর যেসব পাল্লায় আমরা মাছ কিনি সেগুলো শুধুমাত্র ক্রেতাদের কাছে বিক্রয় করার সময় ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা। সেদিন দেখলাম, বাজারে গলদা চিংড়ির যে দাম, তার চেয়ে কেজিতে দুইশো টাকা কমদামে জেলেদের কাছ থেকে মাছ কেনে মহাজন ।
যে মাছ ধরতে জেলেদের প্রায় সারারাত লেগে যায়, বাজারে সে মাছ বিক্রি করতে মহাজনের দুই ঘন্টা সময় লাগে। লাভক্ষতি সব ব্যবসায় আছে জানি। কিন্তু ব্যবসায়ীদের কেনার সময় এক পাল্লা আর বিক্রির সময় অন্য পাল্লা ব্যবহার আমাকে অবাক করেছে। তবে কি ব্যবসা মানে ক্রেতাকে ঠকানো?
আপনাদের জ্ঞাতার্থে একটি ছোট ঘটনার উল্লেখ করলাম, যা বাংলাদেশ এর প্রতিটি মাছ বাজারের ঘটনা হতে পারে, যদিও আমরা এমনভাবে প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছি এসব ব্যবসায়ীদের দ্বারা।
সারা দেশের ন্যায় ফুলবাড়ীয়া উপজেলা সদরের মাছ, মাংস ও সবজির দোকানে ওজনে কম দেওয়ার ভোক্তাদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সেই দীর্ঘদিনের অভিযোগ আমলে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লীরা তরফদারের নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন্নাহার শেফা মঙ্গলবার (দুপুরে) বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মাছ, মাংস ও সবজির দোকানে অভিযান চালিয়ে ১৭টি দাঁড়িপাল্লা ও কম ওজনের ৩৬টি বাটখারা জব্দ করেন আদালত।
রক্তচাপ বেড়েছে বুঝবেন যেসব লক্ষণে
হিং এর সাথে এক চিমটি ভালোবাস
পোস্টগুলি
মন্তব্যসমূহ