বিসিএস পরীক্ষা
বিসিএস পরীক্ষা বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষা। গড়ে, প্রতি বছর ৩৫০,০০০থেকে ৪২৫,০০০ প্রার্থী আবেদন করে এবং প্রার্থীদের উপস্থিতির শতাংশ ৯০% এর বেশি।
সকল ক্যাডারের জন্য প্রায় ২% এবং সাধারণ ক্যাডারদের জন্য ০.৫% চূড়ান্ত সাফল্যের হার সহ প্রার্থীদের একটি তিন-পর্যায়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে, যদিও এটি বছরের পর বছর পরীক্ষায় পরিবর্তিত হয়।
সিভিল সার্ভিস
সিভিল সার্ভিস হল সরকারের সেবা সেক্টরের জন্য একটি সম্মিলিত শব্দ যা মূলত নির্বাচিত না হয়ে নিয়োগকৃত কর্মজীবনের বেসামরিক কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত, যাদের প্রাতিষ্ঠানিক মেয়াদ সাধারণত রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিবর্তন থেকে আলাদা থাকে।
একজন বেসামরিক কর্মচারী, যা একজন সরকারী কর্মকর্তা বা সরকারী কর্মচারী হিসাবেও পরিচিত, হল একজন ব্যক্তি যাকে সরকারী বিভাগ দ্বারা সরকারী খাতে নিযুক্ত করা হয়। বেসামরিক কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় এবং সরকারের হয়ে কাজ করে এবং সরকারকে জবাবদিহি দেয়, রাজনৈতিক দলকে নয়।
"সিভিল সার্ভিস" এর অংশ হিসাবে একটি রাষ্ট্রের বেসামরিক কর্মচারীদের পরিধি দেশ থেকে দেশে পরিবর্তিত হয়। ইউনাইটেড কিংডমে (ইউকে), উদাহরণস্বরূপ, শুধুমাত্র ক্রাউন (জাতীয় সরকার) কর্মচারীদের "বেসামরিক কর্মচারী" হিসাবে উল্লেখ করা হয় যেখানে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের () কর্মচারীদের সাধারণত "স্থানীয় সরকারী সিভিল সার্ভিস অফিসার" হিসাবে উল্লেখ করা হয় ", যারা সরকারী কর্মচারী হিসাবে বিবেচিত হয় কিন্তু সরকারী সিভিল কর্মচারী নয়।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (), এটির সংক্ষিপ্ত রূপ বিসিএস দ্বারা পরিচিত, হল বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিস। ভারতীয় উপমহাদেশে সিভিল সার্ভিস ইম্পেরিয়াল সিভিল সার্ভিস থেকে উদ্ভূত হয়েছিল যা ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অভিজাত উচ্চতর সিভিল সার্ভিস ছিল, ১৮৫৮ এবং ১৯৪৭ সালের মধ্যে।
১৯৪৭ সালের বিভক্তির পর, পূর্ব বাংলা পাকিস্তানের একটি প্রদেশে পরিণত হয়, এবং পাকিস্তানের ইম্পেরিয়াল সিভিল সার্ভিসের উত্তরসূরি ছিল সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিসেস।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে এটি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নামে পরিচিতি পায়।
বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন
বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি) হল বিসিএসের প্রধান নীতি নির্ধারণ ও নিয়োগ সংস্থা। বিসিএসে ২৬টি ক্যাডার রয়েছে। বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রশাসন পরিচালনার চূড়ান্ত দায়িত্ব জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের উপর বর্তায় যারা মন্ত্রী। কিন্তু মুষ্টিমেয় মন্ত্রীদের কাছ থেকে আধুনিক প্রশাসনের বহুবিধ সমস্যা ব্যক্তিগতভাবে মোকাবেলা করার আশা করা যায় না। এভাবে মন্ত্রীরা নীতি নির্ধারণ করে এবং বেসামরিক কর্মচারীরা এই নীতিটি পালন করে।
বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা ও নিয়মাবলী:
একটা দেশের সরকারি চাকরিকে আমরা প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করতে পারি, একটা হলো সামরিক চাকরি, আরেকটা হলো সিভিল সার্ভিস বা বেসামরিক চাকরি।
পি এস সি এর পুরো নাম বিপিএসসি অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন। বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগের জন্য উপযুক্ত এবং যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি নির্বাচন করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগদান, উক্ত কর্মের এক শাখা থেকে অন্য শাখায় পদোন্নতিদান ও বদলিকরণ এবং পদোন্নতি বা বদলিকরণে প্রার্থীর উপযোগিতা-নির্ণয় নীতিসমূহ ; অবসর-ভাতার অধিকারসহ প্রজাতন্ত্রের কর্মের শর্তাবলী, শৃঙ্খলামূলক বিষয়াদি সম্পর্কে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পরামর্শ প্রদান করে থাকে।
বিপিএসসি বাংলাদেশের বেসামরিক চাকুরীতে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রণীত ৪ ধরনের পরীক্ষার মধ্যে বিসিএস ১টি । অন্যগুলো হল, নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ, বিভাগীয় পরীক্ষা ও সিনিয়র স্কেল পরীক্ষা।
বিসিএস -এর ২৬টি ক্যাডারে উপযুক্ত প্রার্থী নিয়োগের উদ্দেশ্যে কমিশন কর্তৃক ৩ স্তরবিশিষ্ট যে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় সেটিই বিসিএস পরীক্ষা । Bangladesh Public Service Commission বা 'বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন' গেজেট প্রকাশ করে ক্যাডার হিসেবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে নিয়োগ দেয়ার জন্য এ দেশে যে পরীক্ষা গ্রহণ করে সেটাই হচ্ছে 'বিসিএস' পরীক্ষা।
ক্যাডার পরিচিতি
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে দুই ধরনের ক্যাডার রয়েছে: সাধারণ ক্যাডার এবং প্রফেশনাল/টেকনিক্যাল ক্যাডার।
ক্যাডার👍 কী?
একজন গর্বিত কৃষক সন্তান যখন বিসিএস ক্যাডার
বিসিএস চাকরির মাধ্যমে সরাসরি দেশ সেবায় অংশগ্রহন করা যায়। আপনি যদি পেশাগতভাবে দেশ সেবা করতে চান তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো বিসিএস।
বিসিএস ক্যাডার হওয়ার যোগ্যতা :
- শিক্ষাগত যোগ্যতা
- বয়স সীমা
- নাগরিকত্ব
- শারীরিক ও মানসিক যোগ্যতা
শারীরিক যোগ্যতাঃ
মেডিকেল টেস্ট:
- উচ্চতা, ওজন ও বক্ষ পরিমাপ করা হয়।
- দৃষ্টিশক্তি যাচাই করা হয়।
- মূত্র পরীক্ষা করা হয়।
উচ্চতা, ওজন ও বক্ষ পরিমাপঃ
শারীরিক যোগ্যতা:
বিসিএস পুলিশ এবং বিসিএস আনসার ক্যাডারের ক্ষেত্রে, পুরুষ প্রার্থীর উচ্চতা কমপক্ষে 162.56 সেমি বা ৫'৪" এবং ওজন কমপক্ষে 54.54 কেজি হতে হবে। মহিলা প্রার্থীদের জন্য সর্বনিম্ন উচ্চতা 152.40 সেমি বা ৫' । এবং সর্বনিম্ন ওজন 45.45 কেজি হওয়া উচিত।
অন্যান্য সমস্ত ক্যাডারের জন্য, পুরুষ প্রার্থীদের ন্যূনতম উচ্চতা 152.40 সেমি বা ৫'। এবং মহিলা প্রার্থীদের জন্য সর্বনিম্ন ওজন 45.00 কেজি এবং সর্বনিম্ন উচ্চতা 147.32 সেমি বা ৪' ১০"। এবং মহিলাদের জন্য সর্বনিম্ন ওজন 40.00 কেজি হওয়া উচিত।
দৃষ্টিশক্তিঃ
নিম্নলিখিত মানদন্ড অনুযায়ী বিবেচনা করা হয়।
সহজ কথায় চোখে সমস্যা থাকলে ও চশমা ব্যবহার করার পরে যদি কোন সমস্যা না থাকে তাহলে ক্যাডার হতে কোন সমস্যা নেই
কেউ যদি রঙ ধরতে না পারেন তাহলে ও তিনি বিসিএস এ যোগ্য হবেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে এই তথ্য উনার রিপোর্টে লিখা থাকতে হবে।
বক্ষ পরিমাপঃ
উচ্চতার সাথে বক্ষ পরিমাপে নিম্নোক্ত চার্ট অনুসরণ করা হয়।
জজ-ম্যাজিষ্ট্রেট হওয়ার নিয়মাবলী কী 👉❓
স্নাতক, সম্মান, ডিগ্রি পাস অধ্যয়নরত প্রার্থী/ উপস্থিত প্রার্থী :
যদি একজন প্রার্থী এমন একটি পরীক্ষায় উপস্থিত হয়ে থাকেন যে যদি তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, তাহলে তিনি বিসিএস পরীক্ষা-এ অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য হবেন, তাহলে তিনি উপস্থিত প্রার্থী হিসেবে আবেদন করতে পারবেন।
তবে, ওই বিসিএসের আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখের মধ্যে তার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত না হলেও, তিনি প্রার্থী হিসেবে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে তা সাময়িকভাবে গ্রহণ করা হবে।
বিসিএস-এর জন্য আবেদনের শেষ তারিখের মধ্যে যারা তাদের স্নাতক/স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শেষ করেছেন শুধুমাত্র তারাই বৈধ প্রার্থী হিসাবে বিবেচিত হবে।
তবে শর্তঃ
- বিসিএস পরীক্ষার আবেদনপত্র জমাদানের শেষ তারিখের মাঝেই তার সকল লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার প্রমাণ স্বরুপ পেপারস বা ডকুমেন্টস আবেদনের সাথে যুক্ত করতে হবে।
- আবেদনপত্র সাময়িকভাবে গ্রহণ করা হবে তবে বিসিএস প্রার্থীকে অবতীর্ণ প্রার্থী হিসেবেই বিবেচনা করা হবে।
- অবতীর্ণ প্রার্থীকে তার মৌখিক পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখের পূর্বে যথাশীঘ্র সম্ভব
- বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্জিত প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতার (অনার্স, মাস্টার্স, এমবিবিএস ইত্যাদি) মূল অথবা সাময়িক সার্টিফিকেট বিপিএসসি কমিশনে দাখিল করতে হবে।
- এই বিধির অধীন আবেদনকারী প্রার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য তার আবেদনপত্রের সাথে উক্তরূপ শিক্ষাগত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রমাণস্বরূপ উক্ত পরীক্ষার প্রবেশপত্র(এডমিট কার্ড) এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত পরীক্ষা শুরু ও শেষ হওয়ার তারিখ যুক্ত প্রত্যয়নপত্র অবশ্যই জমা করতে হবে।
বয়সসীমা:
প্রার্থীদের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে, মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ছেলে ও মেয়ে, প্রতিবন্ধী প্রার্থী এবং বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের প্রার্থীদের বয়স ২১ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে গ্রহণ করা হবে। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের জন্য, শুধুমাত্র ২১ থেকে ৩২ বছর বয়সী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীদের গ্রহণ করা হবে।
বিসিএস আবেদনের নিয়মঃ
প্রার্থী যদি শুধুমাত্র সাধারণ ক্যাডারের প্রার্থী হতে চান, তিনি যদি সাধারণ ক্যাডারের আবেদনপত্রের বোতামে ক্লিক করেন, তাহলে সাধারণ ক্যাডারের আবেদনপত্রটি দৃশ্যমান হবে।
একইভাবে, আপনি যদি সাধারণ এবং কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের প্রার্থী হতে চান তবে উভয় ক্যাডারের জন্য নির্ধারিত বোতামে ক্লিক করলে উভয় ক্যাডারের আবেদনপত্র দৃশ্যমান হবে। কাঙ্খিত বিসিএস আবেদনপত্র দৃশ্যমান হলে, প্রদত্ত নির্দেশাবলী অনুযায়ী ফর্মের প্রতিটি অংশ পূরণ করতে হবে।
>বিসিএস আবেদনপত্রের ৩টি অংশ রয়েছে:
- পার্ট-1: ব্যক্তিগত তথ্য,
- পার্ট-2: শিক্ষাগত যোগ্যতা,
- পার্ট-3: ক্যাডার বিকল্প।
বিসিএস আবেদনপত্র পূরণের বিস্তারিত নির্দেশাবলী এবং বিসিএস আবেদনপত্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রদত্ত তথ্য/নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে হবে।
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় মোট ৩ টি ধাপ থাকে।
- প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
- লিখিত পরীক্ষা
- ভাইভা পরীক্ষা
১ম ধাপ,প্রিলিতে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। মোট ১০ টি বিষয় থাকে। আদতে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নম্বর কোন কাজে আসে না। মূল ক্যাডার নির্বাচনে লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষার নম্বর বিবেচনা করা হয়। প্রিলি পরীক্ষা হলো একটা গেটওয়ে।
এই পরীক্ষা প্রার্থীর সংখ্যা কমানোর পরীক্ষা। স্বভাবতই লাখ লাখ শিক্ষার্থীর লিখিত বা ভাইভা পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না।
সেক্ষেত্রে কয়েক বছর লেগে যাবে। তাই এমসিকিউ পদ্ধতিতে প্রিলি পরীক্ষা নেয়া হয়। এই পরীক্ষায় ক্ষেত্রবিশেষে ২০-২৫ হাজার প্রার্থীকে পাশ করানো হয়। যারা প্রিলি পাশ করে শুধু তারাই লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পান।
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রথমেই প্রিলি সিলেবাস টা দেখে নেয়া যাক।
বিসিএস কমিশন :
সরকারি কর্ম কমিশন (Bangladesh Public Service and Commission) একটি স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা, যার দায়িত্ব সরকারি চাকরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করা।
এটি বাংলাদেশের একটি সাংবিধানিক ও স্বাধীন সংস্থা। একজন চেয়ারম্যান এবং কয়েকজন মেম্বার নিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য কমিশন গঠিত হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের নিয়োগ প্রদান করেন। বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে সাধারণত দুই ধরনের ক্যাডার পদে নিয়োগ দেয়া হয় যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে মোট ২৭টি ক্যাডার আছে। ক্যাডার চয়েস মোতাবেক ভাইভা বোর্ডে প্রশ্ন করেন পরীক্ষকরা। টেকনিকেল ক্যাডার গুলো
- বিসিএস স্বাস্থ্য, বিসিএস প্রকৌশল
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কৃষি),
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (মৎস্য),
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বন),
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (সাধারণ শিক্ষা)।
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (খাদ্য),
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (তথ্য),
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পশু সম্পদ),
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পরিসংখ্যান),
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বাণিজ্য)
- রেলওয়ে বাণিজ্য
🤔পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর উপায় কী❓👉
বিসিএস ক্যাডার সমূহের নাম:
- BCS(ADMINISTRATION)
- BCS(AGRICULTURE)
- BCS(ANSAR)
- BCS(AUDIT & ACCOUNTS)
- BCS(CO-OPERATIVE)
- BCS(CUSTOMS & EXCISE)
- BCS(ECONOMIC)
- BCS(FAMILY PLANNING)
- BCS(FISHERIES)
- BCS(FOOD)
- BCS(FOREIGN AFFAIRS)
- BCS(FOREST)
- BCS(GENERAL EDUCATION)
- BCS(HEALTH)
- BCS(INFORMATION)
- BCS(LIVESTOCK)
- BCS(POLICE)
- BCS(POSTAL)
- BCS(PUBLIC HEALTH ENGG)
- BCS(PUBLIC WORKS)
- BCS(RAILWAY TRNS.& COMMERCIAL)
- BCS(RAILWAY: ENGINEERING)
- BCS(ROADS & HIGH WAYS)
- BCS(STATISTICS)
- BCS(TAXATION)
- BCS(TECHNICAL EDUCATION)
- BCS(TRADE)
- BCS(TELE-COMMUNICATION)
যাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষায় ভালো সিজিপিএ নেই তারা হতাশাগ্রস্ত। এই কম সিজি নিয়ে কি ক্যাডার হতে পারব?
বিসিএস ক্যাডারের সুবিধা /অসুবিধা :
এজন্য সবারই উচিত একটি যুতসই পছন্দক্রম তৈরি করা ও নিজের মনকে এমনভাবে প্রস্তুত করা যে, ঐ ক্রমের যেকোন একটি পেলেই চাকুরি করবেন এটা নিশ্চিত করা, তাহলে নিজের কাজকে ভালোবাসা যাবে এবং এতে চাকুরীজীবী নিজে ও দেশ উভয়ই উপকৃত হবে। যাই হোক, কাজের কথায় আসি, ক্যাডার চয়েস এর শুরুতে প্রত্যেকের উচিত সবগুলো ক্যাডার সম্বন্ধে নূন্যতম ধারণা নেয়া ও নিজের সঙ্গে যায় সে অনুযায়ী একটি পছন্দক্রম তৈরি করা।
১. পররাষ্ট্রঃ
যেদিন থেকে পৃথিবীতে শাসনতন্ত্র শুরু হয়েছে তার পরপরই শুরু হয়েছে কূটনীতি, আর সবসময়ই কূটনীতিক প্রতিনিধিরা সর্বাধিক শিক্ষিত,মেধাবী ও প্রজ্ঞা সম্পন্ন ব্যাক্তিরাই হয়ে থাকেন।
সুবিধা-অসুবিধা সমূহঃ
এই ক্যাডারে সাধারণত খুব কম খালি পোস্ট থাকে তাই প্রতিযোগিতা সবচেয়ে বেশি;
জয়েন করার পর থেকে ঢাকায় পররাস্ট্র মন্ত্রণালয়ে পোস্টিং , বিদেশে পোস্টিং হতে অন্তত ৬-৭ বছর বা কাছাকাছি লাগে , বিদেশে পোস্টিং হলে কূটনৈতিক সুবিধাসমূহ পাওয়া যায়;
>উচ্চ পদে গেলে এলিট জীবন যাপন করা যায় ,বিদেশে পরিবার এমনকি চাকর পর্যন্ত নেয়া যায় এবং পরিবার সদস্যরা কূটনীতিক না হয়েও কূটনীতিকের মত মর্যাদা সুবিধা ভোগ করেন (এমনকি ভৃত্য পর্যন্ত) ;
এই ক্যাডারে প্রমোশন গ্রোথ অনেক ভাল কারণ কম লোক নেয়া হয় আর বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মিশন সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে;
উচ্চ শিক্ষার সুযোগ অনেক ভাল, বর্তমান পররাস্ট্র সচিব একজন হার্ভার্ড গ্র্যাজুয়েট। উচ্চ শিক্ষা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে জাতিসংঘে প্রেষণে (ডেপুটেশনে) যাওয়ার সুযোগ থাকে; বিদেশে ট্যুর আছে প্রচুর ;
কাজের চাপ তুলনামুলক বেশি; সৎভাবে উন্নত জীবনযাপন সম্ভব;
রাস্ট্রদূত হয়ে কোন দেশে জয়েন করলে এরা “গার্ড অব অনার” পান যা সাধারণত প্রেসিডেন্ট/ সরকার প্রধানরা পেয়ে থাকেন । এক ফরেন ক্যাডার (বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে কর্মরত), স্কাইপিতে আলাপকালে হাস্যচ্ছলে আমাকে বলেছিল, ফরেন ক্যাডার এমন এক ক্যাডার যাদের ওয়ালেট ফাঁকা কিন্তু ঐ ফাঁকাওয়ালেট নিয়েই তারা সারাবিশ্ব ঘুরে বেরাতে পারে । তবে দেশের মাটিতে এদের ক্ষমতার ব্যবহার সীমিত, প্রাক্তন রাস্ট্রদূত হারুন-অর-রশিদের মতে, ” Foreign Cadres contribution to the country may not always be fully appreciated by the public in Bangladesh ” ( কারণ তাদের কাজের খুব কম অংশই জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা হয়ে থাকে )
২.প্রশাসনঃ
নাম থেকেই বোঝা যায় এর কাম (কাজ), ক্যাডার সার্ভিস শুরুই হয়েছে বলতে গেলে এই
ক্যাডার দিয়ে , এরাই মূলত দেশ চালনার মূল হাতিয়ার বলে থাকেন কেউ কেউ । একটা সময় প্রায় ৯০ ভাগ প্রার্থীই নাকি এই ক্যাডার প্রথম পছন্দে দিত(সূত্রঃ একজন অবসর প্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব), এমনকি এখনো প্রায় ৫০-৬০ ভাগ লোক তাই দেয়।
সুবিধা-আসুবিধা সমূহঃ
মফস্বলে পোস্টিং এর সম্ভাবনা সচেয়ে বেশি তাই জনগনের সাথে কাজ করার সুযোগও বেশি;
চাকুরিতে ঢুকে ডিসি অফিসে কাজ করা লাগে , ( স্বল্প সংখ্যক অ্যাডমিন ক্যাডার অবশ্য মন্ত্রনালয়ে সহকারি সচিব হিসেবেও কাজ করে থাকেন);
মোটামুটি ৭-৮ বছর পর UNO হওয়া যায়, আর একজন UNO কে উপজেলা পর্যায়ের সরকার নিয়োজিত ‘রাজা’ বললে মনে হয় কেউ কস্ট পাবে না , কারণ UNO হলে বাংলো ও গাড়ি সুবিধা পাওয়া যায়, উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠান/সেমিনার/কর্মশালা ইত্যাদিতে গেস্ট/চীফ গেস্ট হিসেবে যাওয়া লাগে, উপজেলা পর্যায়ে ক্ষমতার ব্যবহার ব্যাপক; ডিসি’রা জেলা লেভেলের প্রশাসক , ডিসি’র কাজ ও সুবিধা সমূহ আশা করি সবাই জানেন;
অ্যাডমিন ক্যাডারের সবচেয়ে ভাল দিক হচ্ছে ভ্যারিয়েশন , এই ক্যাডারের লোকজন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কাজ করার সুযোগ পান , এমনকি চাকুরি শেষ হলে যোগ্যতা ও দক্ষতার (ও রাজনৈতিক) ভিত্তিতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রেও এরা এগিয়ে (যেমন পিএসসি’র মেম্বার/চেয়ারম্যান ) ;
প্রচুর স্কলারশিপ থাকায় এদের বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ অনেক বেশি, উচ্চ শিক্ষা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাতে প্রেষণে (ডেপুটেশনে বিশ্ব ব্যাঙ্ক, জাতিসঙ্ঘ, ইউনেস্কো,এডিবি ইত্যাদিতে) যাওয়ার সুযোগ অন্য সব ক্যাডারের চাইতে অনেক অনেক বেশি, উল্লেখ্য ডেপুটেশনে অনেক উচ্চ বেতন দেয়া হয় (যেমন জাতিসংঘে প্রারম্ভিক P-5 গ্রেড ইকুইভ্যালেন্ট প্রায় ১ লাখ ডলার);
এমনকি, পররাস্ট্র ক্যাডার না হয়েও অনেকে বিদেশে কূটনৈতিক মিশনে কাজ করার সুযোগ পান, এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেস্টা হওয়ার রেকর্ড ও এই ক্যাডারের লোকের আছে;
এই ক্যাডারে অনেক লোক (যেমন এবার ৩০০, ৩০০/৫৮২ = ৫২% ) নেয়ার কারণে প্রমোশন জটিলতা বেশি, তবে মূলত আশির দশকের ব্যাচ গুলো বেরিয়ে গেলে এই ক্যাডারে প্রমোশন অনেক তরান্বিত হবে বলে সবাই আশা করছেন , তখন আর এই জটিলতা থাকবে না ;
একটা ব্যাপার সবাই খেয়াল করবেন, এখন এই ক্যাডারে প্রমোশন জটিলতা আছে বলে আজ থেকে ২০ বছর পরেও থাকবেই থাকবে এমনটা ধারণা করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না ;
এই ক্যাডারে প্রমোশনের ক্ষেত্রে দক্ষতা (উচ্চ শিক্ষা , বৈচিত্র্যময় কাজের অভিজ্ঞতা) সবচেয়ে বড় যোগ্যতা হিসেবে দেখা হয়, আর এই যোগ্যতা না থাকলে রাজনৈতিক প্রভাবে প্রমোশন হয় ,রাজনৈতিক প্রভাব অনেক বেশি ঠিক আছে কিন্তু দক্ষ লোককে প্রায়রিটি দেয়ার উদাহরন ও অনেক আছে (উদাহরনঃ আকবর আলি খান, সাদাত হুসেন ইত্যাদি আরও অনেক);
এই ক্যাডারে যারা সাধারণত বেশি দিন চাকুরি করতে পারে(যেমন প্রথম দিকে যারা বিসিএস দিচ্ছেন) তারাই বেশি লাভবান হয় কারণ তাদের উচ্চ পদে (সচিব বা তদূর্ধ্ব ) যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে ,( যদিও প্রমোশন আরও অনেকগুলো প্যারামিটারের উপর নিরভর করে );
ই ক্যাডারে একি ব্যাচের লোকের যেমন উপসচিব হয়ে অবসরে যাওয়ার রেকর্ড আছে তেমনি ঐ ব্যাচেরই একজনের কেবিনেট সচিব হওয়ারও রেকর্ড আছে ,সরকারের সচিব বা সচিব পদমর্যাদার পোস্ট গুলোতে অ্যাডমিন ক্যাডাররাই অধিস্টিত হন (কিছু সেক্টর বাদে);
এই ক্যাডারে কাজের চাপ ভালই তবে দায়িত্ব অনুসারে কাজের চাপ নির্ভর করে;
চাকুরির প্রথম জীবনে (৩-৪ বছর) বৈধ/ অবৈধ বাড়তি আয়ের সুযোগ কম;
রাজনৈতিক চাপ অনেক বেশি, তাই ইচ্ছার বিরুদ্ধেও অনেক সময় অনেক কাজ করা লাগতে পারে (উদাহরন হরতালে মোবাইল কোর্ট );
প্রমোশন পাওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক লবিং অনেক (রাজনৈতিক সরকারের) সময় অনেক বেশি;
আবার রাজনৈতিকভাবে মোহরকৃত (সীল মারা) ব্যাক্তিগণের বিরোধী দল ক্ষমতায় এলে OSD হওয়ার রেকর্ড ও প্রচুর।
৩.পুলিশঃ
বাংলাদেশের মানুষ সারাদিন পুলিশকে যাই বলুন , কিন্তু দিন শেষে কিংবা রাত পোহালে কোন বিপদে পড়লে পুলিশকেই যখন তখন ফোন দিতে বাধ্য হয়, এ থেকেই বোঝা যায় পুলিশ আমাদের সমাজে কতটা প্রয়োজন , তারা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে যার কারনে আমরা সমাজে চলাফেরা করতে পারছি।
সুবিধা-আসুবিধা সমূহঃ
লজিস্টিক সাপোর্ট বেশ ভাল (যেমন রেশন সুবিধা, গাড়ি সুবিধা , কোয়ার্টার সুবিধা); এই ক্যাডাররা একবারে র (Raw) পাওয়ার প্র্যাক্টিস করতে পারে ; কাজের চাপ সবচাইতে বেশি ( ঈদের দিন ও ডিউটি থাকে ); তবে এই ক্যাডারকে রাজনৈতিক সরকার একবারে কনডম হিসেবে ইউজ করার চেস্টা করে ,আর উপরের দিকে (Ad. DIG থেকে IGP পর্যন্ত) পোস্ট কম হওয়ায় প্রমোশন গ্রোথ একটা লেভেলে গিয়ে আটকে যায়, দুর্বল চিত্তের লোকজনের এই ক্যাডারে না আসাটাই বেটার (According to an SP)।
মন্তব্যসমূহ