একজন বিবাহের প্রস্তুতি নেওয়া যুবককে আপনি কী কী পরামর্শ দিতে চান?

স্বগতক্তি


বিবাহ উত্তম জিনিস। নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি, যেনো লুটপাট হয়ে না যান। সব সঞ্চয় নিঃশেষ করে বিয়ে করলে পস্তাতে হবে। যত আলোকবাজি আর মেনুর বাহার দেখবেন, সবটাই আপনার পকেটের উপর দিয়ে যাবে। আমি দুবছর ঋণ টেনেছি। আত্মীয় স্বজন অনেক কিছুই বলবে, সন্তান নিবেন দুজনের ক্যারিয়ার বুঝে। নানীদাদী কেউই সন্তানের দায়িত্ব নেবেনা, যদিও তারাই উৎসাহ দেবে সন্তান নিতে। দেরি করলে কৈফিয়তও দিতে হবে সেজন্য । কিন্তু সন্তানকে আপনাদেরই সময় দিতে হবে। সারারাত সন্তান নিয়ে বসে থাকার ফলে আমার স্ত্রীকে চাকরী হারাতে হয়েছিলো আর আমার হয়েছিলো দুরবর্তী পোষ্টিিং। কেউই যায়নি দুরে আমাদের সাহায্য করতে। কারন নানীদাদী একজন ক্লিনিকে অসুস্থ অপরজন দেশের বাড়ীতে । সন্তান ফেলে উল্টো তাদের পেছনে ছুটতে হয়েছে আমাকে।

শ্বশুরবাড়ি থেকে দুরত্বে থাকবেন, তারা বড়জোড় ৩, ৪ দিন যত্ন করে গোশ, মাছ, কোরমা খাওয়াবে। সেখানে বেশি খাতির বাহুল্য ও অর্থ অপচয়ের অন্য নাম । সেখানে অধিক গলাগলিতে নিজের আপন ভাইবোন আপনাকে দুরে ঠেলে দেবে।
স্ত্রীর মতামতকে শ্রদ্ধা করুন। তাঁর মনের কথা বোঝার চেষ্টা করুন, মুখের কথা নয়। যুক্তি দিয়ে বোঝাবেন গায়ের জোরে নয়। স্ত্রীকে ঘনঘন বাপের বাড়ি যাওয়া ঠেকাতে হবে। এটা শাখের করাত, যেতেও খরচ, আসতেও খরচ। আসার সময় অনেক পারিবারিক মন্ত্র শিখে আসবে । কখনো চানক্যর অর্থশাস্ত্র কখনো কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধশাস্ত্র। বাড়ী আপনার, স্ত্রী আপনার, খরচও আপনার কিন্তু রিমোট কন্ট্রোল থেকে যাবে শ্বশুরবাড়ীতে। সবচেয়ে বড় কথা, প্রাকৃতিক নিয়মে নিজের সংসার বা "নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি" র ভক্ত স্ত্রীরা আর পুরুষরা চায় সবাইকে নিয়ে থাকতে। আপনার কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ততা বেশি হলে জয়েন্ট ফ্যামিলি ভালো, বাচ্চারা একাকিত্বে ভুগবে না। ভবিষ্যতের কথা ভেবে দুটোর উপকারিতা ও উপযোগীতা বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
চিত্র, অধিকাংশ স্ত্রী ও তার মায়ের ঝোঁক মেয়ের নিউক্লিয়ার পরিবার হোক, কিন্তু আপনার সিদ্ধান্ত বাস্তবতা বুঝেই নিতে হবে। একটু ভুল হলে, আপনার সন্তান কিভাবে বড় হবে, সেটাও আর আপনার হাতে থাকবেনা। সেও মামাবাড়ির উপদেশ আর গিফটের ভক্ত হবে, যদিও খরচ আপনার। সে চাচাদের থেকে দুরে থাকায় কিছু পারিবারিক বন্ধন ও স্নেহও হারাবে। সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য চাচা-মামা সবাই গুরুত্বপূর্ণ, কাউকে বেশি ভালবাসতে গেলে অপরজন যেনো দুরে সরে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিয়ের অন্তত ত্রিশদিন আগে থেকে ত্বক ও স্বাস্থ্য ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। ত্বক কিছুটা উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্য ভালো হলে ছবি বা ভিডিওতে ভালো লাগবে নিজেকে। প্রচুর আমিষ খান, দুর্বলতা কেটে যাবে । নিচের লিংকটি তে কিছু খাদ্য উপদেশ দেয়া আছে।


বর-কনের ডায়েট  ( বিয়ের আগে ৩০ দিনের ডায়েট )

 স্বাস্থ্যের কথা/ বাংলাভাষায় অনলাইন স্বাস্থ্য ম্যাগাজিন

মন্তব্যসমূহ