হারপিস জোষ্টার বা সিংলেস /shingles

হারপিস যষ্টার বা সিংলেস /shingles

একটি বেদনাদায়ক ফুসকুড়ি এবং ফোসকা ছাড়াও ত্বকের দাগ মাথাব্যথা এবং মুখের একপাশে দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে। কপালে ফুসকুড়ি দেখা দিলে তা নাকের ডগা পর্যন্ত প্রসারিত হবে। মুখের ব্যথা, অসাড়তা এবং ঝাঁকুনি হতে পারে।

হারপিস জোস্টার

কারও জলবসন্ত ভালো হয়ে যাওয়ার অনেক দিন পরেও এর জীবাণু স্নায়ুতন্ত্রের মধ্যে সুপ্ত অবস্থায় থেকে যেতে পারে। পরবর্তীতে কোনো কারণে মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে গেলে এই জীবাণু সুপ্ত অবস্থা থেকে সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং আবারও আক্রমণ করতে পারে। মূলত একে ‘হারপিস জোস্টার’ বলে।



যখন ভেরিসেলা-জোস্টার ভাইরাস, যা চিকেনপক্স সৃষ্টি করে, তাদের শরীরে পুনঃসক্রিয় হয়ে গেলে চিকেনপক্সে আক্রান্ত হওয়ার পর লোকেরা হারপিস এর কষ্ট করে।

হারপিস একটি বেদনাদায়ক, সাধারণত চুলকানি, ফুসকুড়ি যা মুখ বা শরীরের একপাশে বিকশিত হয়। ফুসকুড়িতে ফোসকা থাকে যা সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে স্ক্যাব হয়ে যায় এবং ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়ে যায়।


প্রাথমিক লক্ষণ: যেখানে ফুসকুড়ি তৈরি হবে সেখানে লোকেদের ব্যথা, চুলকানি বা টিংলিং হতে পারে। ফুসকুড়ি প্রদর্শিত হওয়ার কয়েক দিন আগে এটি ঘটতে পারে। ফুসকুড়ি দেখা দেওয়ার আগে মানুষের জ্বরও হতে পারে।

ফুসকুড়ি সাধারণত শরীরের বাম বা ডান পাশে একটি একক ফিতে দেখা যায়। মুখের একপাশেও ফুসকুড়ি হতে পারে। মুখের দাগ চোখের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং দৃষ্টিশক্তি হ্রাস করতে পারে। ফুসকুড়ি শরীরে আরও বিস্তৃত হতে পারে এবং দেখতে চিকেনপক্স ফুসকুড়ির মতো হতে পারে। এটি খুবই বিরল এবং সাধারণত দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের লোকেদের মধ্যে ঘটে।

ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি হারপিস ভাইরাস ১০০ ধরণের উপরে হলেও মাত্র ৮ ধরনের হারপিস মানুষের ক্ষতি করে – এদের মধ্যে হারপিস জোস্টার এবং হারপিস সিম্পলেক্স মানুষের জন্য আতঙ্কের । এদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী, সংক্রমণের ধরণও ভিন্ন। চরিত্রের দিক থেকে হারপিস সিমপ্লেক্সের তুলনায় অনেকটাই আলাদা ও ক্ষতিকর হারপিস জোস্টার




হারপিস জোস্টারকে এক কথায় বলতে গেলে এটি একটি ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণ। জলবসন্ত বা চিকেনপক্সের জন্য দায়ী যে ভাইরাস, সেটিই হারপিস জোস্টার। সম্পূর্ণ নাম ভ্যারিসেলা-জোস্টার ভাইরাস বা varicella-zoster। শুধু চিকেন পক্সের ক্ষেত্রে এর সংক্রমণ প্রাথমিক এবং বহিরাগত।

চিকেনপক্স এবং হারপিস জোস্টার রোগ ভেরিসেলা-জোস্টার ভাইরাস (হিউম্যান হারপিস ভাইরাস টাইপ ৩) দ্বারা সৃষ্ট হয়; চিকেনপক্স হল ভাইরাসের তীব্র, প্রাথমিক সংক্রমণের পর্যায় এবং হারপিস জোস্টার (শিংলস) সুপ্ত পর্যায় থেকে ভাইরাসের পুনঃসক্রিয়তার প্রতিনিধিত্ব করে।

হার্পিস জোস্টার সংক্রমণ হয় যখন ভেরিসেলা-জোস্টার ভাইরাস তার সুপ্ত অবস্থা থেকে একটি পোস্টেরিয়র ডরসাল রুট গ্যাংলিয়নে বা নার্ভে ভাইরাস পুনরায় সক্রিয় হলে রোগটা হয়। এর ডাক্তারী নাম Acute Posterior Ganglionitis.

রোগের সুপ্তবস্থা


ভ্যারিসেলা বা হারপিস জোস্টার ফুসকুড়ির সংস্পর্শে আসার ১৪ থেকে ১৬ দিন পর ভ্যারিসেলার গড় ইনকিউবেশন সময়কাল ১০ থেকে ২১ দিন। ফুসকুড়ি শুরু হওয়ার ১ থেকে ২ দিন আগে জ্বর এবং অসুস্থতার একটি হালকা প্রড্রোম হতে পারে, বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে। শিশুদের মধ্যে, ফুসকুড়ি প্রায়ই রোগের প্রথম লক্ষণ।

এই রোগের সংক্রমণ আর লক্ষণ প্রকাশের মধ্যে প্রায় সপ্তাহ দুয়েকের সময় বা ইনকিউবেশন পিরিয়ড থাকে। এরপর দু-তিন দিন থাকে প্রোড্রোমাল সিম্পটমস বা পূর্বলক্ষণ৷ তবে অনেকের ক্ষেত্রেই আবার কোনোরকম পূর্ব লক্ষণ ছাড়াই সরাসরি আক্রমণ করে হারপিস।


সংক্রমন


সক্রিয় হারপিস জোস্টার ক্ষতগুলি ভেসিকুলার তরলের সাথে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে বা ফোসকা থেকে ভাইরাস কণার শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে সংক্রামক হয় যতক্ষণ না তারা শুকিয়ে যায় এবং স্ক্যাব হয়।

ফুসকুড়ি শুরু হওয়ার আগে এটি সাধারণত ১-২ দিন পর্যন্ত সংক্রামিত হয়, যতক্ষণ না সমস্ত ক্ষত ক্রাস্ট না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত এটি চলতে থাকে।

পরিবর্তিত অনাক্রম্যতা সহ রোগীদের মধ্যে যোগাযোগ দীর্ঘায়িত হতে পারে। জোস্টার আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষত দেখা দেওয়ার এক সপ্তাহের জন্য সংক্রামক হিসাবে বিবেচিত হয়, যখন তারা আর্দ্র থাকে।

কিভাবে সংক্রমণ ছড়ায় এই ভাইরাস?

ভ্যারিসেলা-জোস্টার ভাইরাস (VZV) প্রাথমিকভাবে সংক্রমণের পর ত্বক থেকে সোজা চলে যায় সেন্সরি নার্ভ এন্ডিং-এ। সেখান থেকে সেন্সরি ফাইবার বেয়ে পৌঁছায় সেন্সরি গ্যাংলিয়াতে। এই গ্যাংলিয়াগুলি আসলে বহু স্নায়ু-কোষতন্তু গুলির একত্রিত সমাবেশ। ভাল মানুষের মতো সেন্সরি গ্যাংলিয়াতে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে এই ভাইরাস। এই অবস্থাকে বলে লেটেন্ট স্টেট। এই নিষ্ক্রিয় অবস্থা বা নিদ্রা-দশা চলতে পারে বহু বছর। তারপর একদিন হঠাৎ করেই সংক্রিয় হয়ে ওঠে ভ্যারিসেলা জোস্টার ভাইরাস (VZV)। গ্যাংলিয়ার শয্যা ছেড়ে স্নায়ু তন্তু বরাবর নেমে এসে আক্রমণ করে ত্বকে।

এবার এই ভাইরাসের সমস্ত শক্তি কেন্দ্রীভূত হয় সাধারণত একটি বা দুটি ডার্মাটোমে। ডার্মাটোম হল ত্বকের সেই নির্দিষ্ট অংশ যার সংবেদনশীলতা নির্ধারিত হয় একটি নির্দিষ্ট নার্ভের দ্বারা।

কিন্তু, হঠাৎ করে কেনই বা সক্রিয় হয়ে ওঠে এই ভাইরাস? এর কারণ হতে পারে কোনো,

  • আঘাত, বা
  • অতিরিক্ত পরিশ্রম,
  • ক্লান্তি,
  • অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতা,
  • অথবা হতে পারে শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয় এমন কোনো ওষুধের ব্যবহার কিংবা
  • মেরুদণ্ডে রেডিয়েশনের প্রয়োগ ইত্যাদি।
  • চিকেনপক্স রোগীর সংস্পর্শে এলেও ভাইরাসটি পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে।

হারপিস জোস্টার সংবেদনশীল স্নায়ুর গ্যাংলিয়া রুট , সংশ্লিষ্ট ডার্মাটোমের ত্বক এবং কখনও কখনও মেরুদণ্ডের স্নায়ু, মেনিনজেস এবং পৃষ্ঠীয় ও ভেন্ট্রাল রুট আক্রমণ করে স্ফীত করে।

লক্ষণগুলি সাধারণত আক্রান্ত স্নায়ুর ডার্মাটোম বরাবর ব্যথা দিয়ে শুরু হয়, তারপরে ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে একটি ভেসিকুলার বা ফুসকুড়ি বিস্ফোরণ হয় যা সাধারণত ডায়াগনস্টিক বা রোগ নির্ণয়কারী।


হারপিস জোস্টারের উপসর্গ ও লক্ষণ

  • তীব্র ব্যথা , স্পর্শনুভূতি বা অন্যান্য ব্যথা জড়িত স্থানে রোগটা শুরু হয়,
  • ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ফুসকুড়ি শুরু হয়, (সেগুলো সাধারণত একটি erythematous ভেসিকল)।
  • স্থান টি সাধারণত বুক বা কটিদেশীয় অঞ্চলে এক বা একাধিক সংলগ্ন ডার্মাটোমে হয়,
  • কয়েকটি ক্ষতও দেখা দিতে পারে।
  • ক্ষতগুলি সাধারণত একতরফা হয় এবং শরীরের মধ্যরেখা অতিক্রম করে না।
  • ক্ষত সাধারণত হাইপারেস্থেটিক হয় এবং ব্যথা তীব্র হতে পারে
  • ক্ষত সাধারণত প্রায় ৩ থেকে ৫ দিন ধরে চলতে থাকে।


ব্যথা হল সবচেয়ে সাধারণ অভিযোগ যার জন্য হারপিস জোস্টার রোগীরা চিকিৎসা সেবা চান। ব্যথা "জ্বলন্ত" বা "দমকা" হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে এবং সাধারণত অসহনীয়। প্রকৃতপক্ষে, ব্যথার কারণে রোগীদের অনিদ্রা হতে পারে। যদিও যেকোন ভার্টিব্রাল ডার্মাটোম জড়িত থাকতে পারে, T5 এবং T6 সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়।

হারপিস জোস্টার হওয়ার সম্ভাবনা কাদের বেশি?

খুব ছোটদের সাধারণত আক্রমণ করে না এই ভাইরাস৷ তবে কারা আক্রান্ত হতে পারে, এটা নির্দিষ্ট করে বলাটা শক্ত। এর সাথে এটাও হলফ করে বলা যায় না যে যাঁরা একবার চিকেন পক্স আক্রান্ত হয়েছে, ভবিষ্যতে তাদের হারপিস হবে না৷

হারপিস জোস্টর প্রায়শই বয়স্ক ও এইচআইভি-সংক্রমিত রোগীদের মধ্যে দেখা যায় এবং ইমিউনো কমপ্রোমাইজড রোগীদের মধ্যে এটি আরও ঘন ঘন এবং গুরুতর হয়। কারণ এই রোগীদের কোষ-মধ্যস্থ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়।

যাঁদের কোনোদিনও চিকেন পক্স হয়নি, তাঁদেরও হতে পারে হারপিস জোস্টার সরাসরি সংক্রমণে। তবে তুলনামূলক কম সংক্রামক এই জোস্টার ভাইরাস।

শরীরের কোন কোন অংশ আক্রান্ত হয়?

বুকে, কোমরে, মুখে, কপালে, পিঠে — যে কোনো জায়গাতেই হতে পারে হারপিস।

তবে প্রথমদিকে যে র‍্যাশ গুলি দেখা দেয়, সেগুলো একটু লালচে হয়। তার থেকেই কিছুক্ষণ পর ছোট ছোট ফুসকুড়ি দেখা দেয়।

আর এই পুরো ব্যাপারটাই ঘটে মাত্র ৪ থেকে ১২ ঘন্টার মধ্যে। পরবর্তী দু’ তিন দিনের মধ্যে এরকম কয়েকটি ফুসকুড়ি থেকে ফোস্কা দল বেঁধে গজিয়ে ওঠে।

এটি সাধারণত শরীরের যেকোনো একটা দিকে, একটা বা দুটো নার্ভের এলাকা বরাবর হয় ।

সাধারণত দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায় হারপিস। সেভাবে কোনো জটিলতা দেখা না দিলে, কোনো দাগও আর থাকে না শরীরে। তবে ঘটতে পারে জীবাণুঘটিত সংক্রমণ। আক্রান্ত স্থানটি পেকেও যেতে পারে। সেক্ষেত্রে দাগ দেখা দেয়।


পরীক্ষা-নিরীক্ষা:

হারপিস জোস্টার নির্ণয়ের জন্য সাধারণত কোনো পরীক্ষা লাগে না। রোগীর ইতিহাস ও ত্বকের ফুসকুড়ি দেখেই হারপিস নিখুঁতভাবে নির্ণয় করা যায়। কিছু ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণ দেখার জন্য ডায়াবেটিসসহ আরও কিছু পরীক্ষা করা যেতে পারে।


হারপিস জোস্টার এর চিকিৎসা

জোস্টার চিকিৎসার ক্ষেত্রে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ও ক্রিম খুবই কার্যকর। ব্যথা কমানোর জন্য প্রিগাবালিন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বকের দানা অথবা ফুসকুড়ি চুলকাবেন না। প্রয়োজনে ঠান্ডা সেঁক দিলে আরাম পাওয়া যায়।

অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ দিয়ে চিকিত্সা করা হয়, আদর্শভাবে ত্বকের ক্ষত দেখা দেওয়ার ৭২ ঘন্টার মধ্যে দেওয়া হয়।

বিশ্রাম, এই রোগের মূল চিকিৎসাই হলো রোগীর সঠিক বিশ্রাম

ব্যথার ওষুধ বা পেইনকিলার প্রয়োগ করা হয়, শরীরের প্রবল যন্ত্রণার থেকে মুক্তির জন্য।

• ভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপ কমাতে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগ করা হয়, ফলে অনেকক্ষেত্রেই উপশম হয় কষ্টের।

অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ, বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় ওষুধের। অ্যাসাইক্লোভির বা ফ্যামসাইক্লোভির প্রয়োগ করা হয় সাধারণত।

তবে একটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন, তা হলো — এই রোগে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা অনুভব হয়। ফলে রোগী অনেকসময়ই বুঝে উঠতে পারেন না, তার আসলে কি হয়েছে৷ তাই এরকম কোনো উপসর্গ দেখা দিলে, তৎক্ষনাৎ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

কী কী জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে?

যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের ক্ষেত্রে সংক্রমণ কেবলমাত্র শরীরের একটি অংশে সীমাবদ্ধ না থেকে সারা দেহে ছড়িয়ে যেতে পারে। দেখা দিতে পারে রক্ত-ভরা ফোসকা।

গুরুতর ক্ষেত্রে এর থেকে সেপ্টিসিমিয়া,এনকেফেলাইটিস, আর্থ্রাইটিস, নেফ্রাইটিস, নিউমোনিয়া,প্যানক্রিয়াটাইটিস এমনকী হেপাটাইটিসও হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে হারপিস হলে নবজাতকের সংক্রমণের সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে। আর গর্ভাবস্থায় প্রথম দিকে হলে শিশুটি নানারকমের জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মাতে পারে। একে বলে ‘কনজেনিটাল ভ্যারিসেলা সিনড্রোম’।

আর একটি সমস্যা হতে পারে হারপিস থেকে, তা হলো পোস্ট-হারপেটিক নিউরালজিয়া (PHN)। হারপিস সেরে যাবার দু’মাস পর রোগীর এই PHN এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

তবে PHN এ আক্রান্ত হওয়ার ফলে যদি অপথ্যালমিক স্নায়ুটি আক্রান্ত হয়,তাহলে কেরাটাইটিস, আইরাইটিস, কর্নিয়ায় ঘা, এমনকী দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

হারপিসের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা:

হারপিস জোস্টারের ফুসকুড়ি চলে যাওয়ার পরেও জ্বালাপোড়া অথবা ব্যথা অনেক দিন পর্যন্ত থাকতে পারে, একে ‘পোস্ট-হারপেটিক নিউরালজিয়া’ বলে।

পোস্ট-হারপেটিক নিউরালজিয়া চিকিৎসায় প্রিগাবালিন অথবা এমিট্রিপটাইলিন জাতীয় ওষুধ দীর্ঘমেয়াদি সেবন করতে হতে পারে। যত দ্রুতই চিকিৎসা শুরু করুন, জোস্টার পুরোপুরি ভালো হতে ২-৩ সপ্তাহ সময় লাগে। পোস্ট হারপেটিক নিউরালজিয়ার চিকিৎসা আরও দীর্ঘমেয়াদি; ক্ষেত্রবিশেষে ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত সময় লাগে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


ধন্যবাদ পড়ার জন্য।স্বাস্থ্যের কথা/ অনলাইন স্বাস্থ্য ম্যাগাজিন

মন্তব্যসমূহ