দাদ কি
যে কারো দাদ হতে পারে। এই সংক্রমণের কারণ ছত্রাক ত্বকে, পৃষ্ঠে এবং পোশাক, তোয়ালে এবং বিছানার মতো গৃহস্থালির জিনিসগুলিতে বাস করতে পারে।
দাদ চামড়া্র একটি সাধারণ সংক্রমণ যা শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের মধ্যেই দেখা যায়। ডারমাটোফাইট নামক একটি ফাঙ্গাস'এর সংক্রমণে দাদ হয়। ডাক্তারি পরিভাষায় একে টিনিয়া বলা হয়। মানুষ এবং পশু উভয়েরই দাদ হতে পারে।
চামড়ার যে অংশ সাধারণত উষ্ণ এবং আর্দ্র থাকে সেখানেই দাদের সংক্রমণ হয়, যেমন পায়ের পাতার চামড়ার ভাজে, কুঁচকিতে, মাথার তালুতে, আঙুলে, ইত্যাদি। চামড়ার যে জায়গায় সংক্রমণ হয় সেই জায়গার নামানুসারে দাদের নামকরণ করা হয়।
দাদ কাদের হয়?
যারা পাবলিক শাওয়ার বা লকার রুম ব্যবহার করেন, ক্রীড়াবিদ (বিশেষ করে যারা কুস্তি খেলার সাথে জড়িত), ২-৪ জন যারা আঁটসাঁট জুতা পরেন এবং অতিরিক্ত ঘাম পান, এবং যারা পশুদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ করেন তাদেরও সম্ভাবনা বেশি হতে পারে দাদ সৃষ্টিকারী ছত্রাকের সংস্পর্শে আসার কারণে।
যে সমস্ত মানুষের দেহের দুর্বল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকে , যেমন যাদের এইচ-আই-ভি, ডায়াবেটিস, অটো ইমিউন রোগ এবং ক্যান্সার আছে, সাধারণত তাদের বেশি দাদের সংক্রমণ হয়।
দাদের কারন ছত্রাক যা তিনরকম:
- ট্রাইকোফাইটন-
- এপিডার্মফাইটন
- মাইক্রোস্পোরাম
সংক্রমিত অঙ্গগুলো :
শরীরের যেকোন অঙ্গের চামড়ায় হতে পারে। যেমন,
- টিনিয়া ক্রুরিস =কুঁচকির (groin) দাদ
- টিনিয়া ক্যাপাইটিস=মাথার দাদ
- টিনিয়া কর্পোরিস= শরীরে(trunk) বা হাত পায়ে দাদ
- টিনিয়া পেডিস (অ্যাথলেট'স ফুট)= পায়ের পাতায় দাদ
- টিনিয়া আঙ্গুয়াম= নখে দাদ
মাথায় চিরুণী দ্বারা ও পায়ে পুরোন মোজা দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে।
সংক্রমন চামড়ার যে অংশ সাধারণত উষ্ণ এবং আর্দ্র থাকে সেখানেই দাদের সংক্রমণ হয়, যেমন পায়ের পাতার চামড়ার ভাজে, কুঁচকিতে, মাথার তালুতে, আঙুলে, ইত্যাদি।
সাধারণত ঘামে ভেজা শরীর, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন শরীর, দীর্ঘ সময় ভেজা থাকে এমন শরীর, ত্বকে ক্ষত আছে এমন শরীর এই ছত্রাকগুলোর স্পোর (বা, হাইফা) দ্বারা আক্রান্ত হয়। এই ছত্রাকগুলোর সুপ্তিকাল ৩ থেকে ৫ দিন।
দাদ এর উপসর্গ
- প্রথমে আক্রান্ত স্থানে ছোট লাল গোটা হয় এবং সামান্য চুলকায়।
- পরে আক্রান্ত স্থানে বাদামী বর্ণের আশ হয় এবং স্থানটি বৃত্তাকারে বড় হতে থাকে।
- ক্রমে সুনির্দিষ্ট কিনারা সহ বৃত্তের আকার বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং মাঝখানে ত্বক স্বাভাবিক হয়ে আসে।
- চুলকানি বৃদ্ধি পায়।
- চুলকানোর পর আক্রান্ত স্থানে জালা হয় এবং আঠালো রস বের হয়।
- মাথায় হলে স্থানে স্থানে চুল উঠে যায়, নখে হলে দ্রুত নখের রঙ বদলায় এবং শুকিয়ে খণ্ড খণ্ড ভেঙ্গে যেতে পারে।
টাইফয়েড জ্বরের উপসর্গ, লক্ষণ ও কারণ কি⁉️▶️
দাদ এর বিস্তার
এটি সংক্রামক রোগ। অতিসহজেই রোগী থেকে সুস্থ দেহে বিস্তার লাভ করতে পারে।
রোগীর চিরুনি, তোয়ালে, বিছানা ইত্যাদি ব্যবহার করলে এ রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভবনা থাকে। তবে রোগাক্রান্ত পোষা বিড়ালের মাধ্যমে এটি বেশি ছড়ায়।
শরীরের যে কোন স্থানের টিনিয়া কর্পোরিস বা দাদ

- একটি গোলাকার ক্ষত যার চারদিকের সীমানা উঁচু এবং মাঝে একটি গোলাকার অঞ্চল।
- ক্ষতের রঙ লাল, গোলাপি, ধূসর বা খয়েরী হতে পারে।
- অনেকগুলি গোলাকার ক্ষত এক হয়ে অনেকটা জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
- অনেক সময় ক্ষতের চারপাশে পুঁজ ভর্তি ফোঁড়া হতে পারে।
বেসাল মেটাবোলিক ইনডেক্স বা বিএমআই কি⁉️কিভাবে নির্ণয় করে‼️▶️
টিনিয়া ক্রুরিস অথবা কুঁচকিতে দাদ (জক ইচ)

- সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে কুঁচকির কাছে। ফোলা এবং লালচে ভাব থাকে।
- ক্রমশ ক্ষত আয়তনে বাড়তে থাকে এবং কুঁচকির ভিতর দিকে, কোমরে এবং নিতম্বে ছড়িয়ে পড়ে।
- প্রভাবিত জায়গা খসখসে হয়ে যায়, এতে ফাটল দেখা যায় এবং খোসা হয়ে ঝরে পড়ে।
- সংক্রমিত গোলাকার ক্ষতের সীমানাটি উঁচু হয় এবং এখানে পুঁজ ভর্তি ফোঁড়া থাকে।
- এই সংক্রমণে প্রায়ই তীব্র চুলকানি হয়।
টিনিয়া পেডিস বা পায়ের পাতায় বা আঙুলে দাদ (এথলেটস ফুট)

- পায়ের পাতার চামড়া এবং পায়ের আঙুলের মাঝের চামড়া শুকিয়ে যায় এবং সহজেই খোসা হয়ে ঝড়ে পড়ে।
- চামড়া ফেটে যায় এবং সেখান থেকে রক্তক্ষরণ হয়।
- সংক্রমণ পায়ের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে, ক্ষত এবং পুঁজ ভর্তি ফোঁড়া হয়, সাথে বেদনা এবং তীব্র চুলকানি হয়।
- পায়ের আঙুলের মাঝের চামড়া সাদা, নরম এবং স্পঞ্জের মতন হয়ে যায়।
- তীব্র সংক্রমণের জন্য পায়ের চামড়া থেকে, বিশেষত আঙুলের মাঝের চামড়া থেকে দুর্গন্ধ বার হতে থাকে।
টিনিয়া উঙ্গুইয়াম অথবা নখে দাদ

- এক বা একাধিক আঙুল প্রভাবিত হতে পারে।
- সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে নখের গোঁড়ার দিক ফোলা এবং লালচে রঙের হতে পারে।
- নখের রঙ বদলে কালো, হলুদ অথবা সবুজ হতে পারে।
- সংক্রমণ বৃদ্ধির সাথে সাথে নখ মোটা এবং ভঙ্গুর হয়ে যাবে এবং আঙুল থেকে খুলে পড়তে পারে।
- যাদের এথলেটস ফুট আছে সাধারণ ভাবে এই রোগ তাদেরই বেশি হয়।
টিনিয়া ক্যাপিটিস অথবা মাথার তালুতে দাদ

- তালুতে খুশকি ওঠে।
- চুল পড়ে গিয়ে টাক দেখা যায়।
- টাকে কালো ছোপ দেখা যায়।
- প্রভাবিত জায়গাটি প্রদাহের জন্য লাল হয়ে ফুলে যায়।
- তালুতে সাধারণত খুব চুলকনি হয়।
টিনিয়া বারবেই অথবা দাড়িতে দাদ

- দাড়ি আর গোঁফের নিচে, ঘন লোমের আড়ালে দাদ হয়।
- চামড়া লাল হয়ে ফুলে যায় এবং বৈশিষ্ঠমূলক স্বচ্ছ তরল নির্গi হয়।
- প্রভাবিত জায়গায় পুঁজ-যুক্ত ফোঁড়াও হতে পারে।
- গ্রন্থিকোষের ক্ষতি হওয়াতে লোম ঝরে পড়ে।
- প্রভাবিত এলাকায় তীব্র চুলকানি হয়।
টিনিয়া মানূম অথবা হাতে দাদ
- হাতের তালু খুব শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়।
- সাধারণত হাতের পিছন দিকে গোলাকার সংক্রমণ হয়।
টেনিয়া ফেসিই অথবা মুখে দাদ
- দাড়ির এলাকা বাদ দিয়ে মুখের চামড়ার অন্যান্য এলাকা লাল হয়ে যায়।
- মুখের চামড়ায় জ্বালা ও চুলকানি হয়, বিশেষত সূর্যের আলো লাগলে।
- সংক্রামিত এলাকায় গোলাকার ক্ষত থাকতেও পারে, আবার নাও থাকতে পারে।
দাদ নিরাময়

ক্লোট্রিমাজোল ক্রিম (ক্লোট্রিম) ই সেরা , সাথে স্টেরয়েড থাকতেও পারে চুলকানি কমাতে (বেটাভেট সিএল ক্রিম)।
ক্লোট্রিমাজোল হল একটি ওষুধ যা সংক্রমণের কারণ ছত্রাককে মেরে দাদ নিরাময় করে। ... মাইকোনাজোল
মাইকোনাজোল (মাইকোনেক্স ক্রিম)। হল আরেকটি অ্যাজোল যা ক্লোট্রিমাজোলের মতোই কাজ করে।
... কেটোকোনাজল (কিটো গোল্ড সাবান, শ্যাম্পু)।
কেটোকোনাজোল অ্যাজোল পরিবারের তৃতীয় সদস্য। ... ইট্রাকোনাজোল।
... টারবিনাফাইন (টারবিন ক্রিম স্প্রে)। ... নাফটিফাইন। ... টোলনাফতে।
... সাইক্লোপিরোক্স (ক্লোপিরক্স, ফ্যাঙ্গিরক্স ক্রিম)। সবগুলোই কার্যকরী।
সাধারণতঃ- ছত্রাকঘাতী (Antifungal) ক্রিমে কাজ হয়। মাথা বা নখে হলে খাবার জন্য বড়ি দেওয়ারও দরকার পড়তে পারে।
অল্প সংক্রমণ হলে সাধারণত এন্টি-ফাঙ্গাল মলম এবং অন্যান্য লোশান লাগালেই সেরে যায়।
আর সংক্রমণ যদি বেশি হয় তাহলে এন্টি-ফাঙ্গাল ওষুধ খেতে হবে। অধিকন্তু, পরিষ্কার পরিছন্ন থাকলে, চামড়া পরিষ্কার থাকলে দাদের প্রতিরোধ করা যায়।
কুঁচকিতে চুলকানি:

অলিভ অয়েল,, আপেল সিডার ভিনেগার. চা গাছের তেল সবগুলোই কার্যকরী।
নারকেল তেল. হলুদ। ঘৃতকুমারী. ওরেগানো তেল। লেমনগ্রাস। সব প্রাকৃতিক ই কার্যকরী।
গরমকালে কুচকিতে ঘাম জমে স্থানটি ভিজে থাকে বলে ওখানটায় গরমকালে এটি দেখা দেয়।
গ্রাইসিফলভিন ৫০০ এমজি রোজ একটি করে একবার চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত খাবেন এবং সেই সাথে tarbinafin oint দৈনিক তিনবার লাগাবেন।
রোজকার ব্যবহৃত জাইঙ্গা, লুঙ্গি ও প্যান্ট প্রতি ২৪ ঘণ্টায় একবার ধুয়ে ফেলতে হবে, তা না হলে এটা চলে যাবে কিন্তু অবশ্যই দু-এক মাস পর আবার দেখা দেবে।
আঙুলের ফাঁকে ঘা :
চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় টিনিয়া পেডিস। এটি মূলত ছত্রাকঘটিত ত্বকের সংক্রমণ, যা সাধারণত পায়ের আঙুলের ফাঁকে ফাঁকে হয়।
এক্ষেত্রে চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ির সৃষ্টি হয়, যা যন্ত্রণা ও জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি করে।
এর থেকে আবার ফোসকা ও ঘায়ের সৃষ্টিও হতে পারে। যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে।
অ্যাথলেট পায়ের ক্ষত খুব বেশি না হলে ঘরেই এর চিকিৎসা করতে পারেন।
এই সমস্যা প্রতিরোধে পা শুকনো ও পরিষ্কার রাখতে হবে। ত্বকের আর্দ্র স্থানেই ছত্রাকের বৃদ্ধি বাড়ে। নিয়মিত মোজা পরিবর্তন করুন।
বাইরে থেকে ঘরে ফিরেই পা পরিষ্কার করুন। পায়ের আঙুলের ফাঁকে ফাঁকে শুকনো রাখুন। পাবলিক পুল বা জিমে খালি পায়ে যাবেন না। খুব টাইট ফিটিং জুতা পরবেন না।
এর অনেক পাঠ্য পুস্তকিয়ো চিকিৎসা আছে। আমি ওসব পালন করার সময় পাই না। হাতের জন্য যে হেক্সিসল স্পিরিট ব্যবহার করি সেটি দিনে ৪ বার নিয়মিত দিতে থাকুন। ছত্রাক পালাতে বাধ্য।
প্রভাবিত স্থানে লাগানোর এন্টিফাঙ্গাল ওষুধ
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এন্টিফাঙ্গাল ক্রিম, পাউডার, স্প্রে বা মলম লাগালে ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমণের নিরাময় হয়। পা এবং কুঁচকির দাদের চিকিৎসার সাধারণ এন্টিফাঙ্গাল ক্রিম, পাউডার বা মলমগুলি হল:
ক্লোট্রিমাজোল, মিকোনাজোল, টারবিনাফিন, কেটোকোনাজোল, নখের দাদের চিকিৎসার জন্য সিক্লোপিরক্স নামক এন্টি-ফাঙ্গাল ওষুধ মিশ্রিত নখের ভার্নিশ লাগানো হয়।
খাওয়ার জন্য এন্টি-ফাঙ্গাল ওষুধ
যখন দাদের সংক্রমণ দেহের অনেক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে তখন এন্টি-ফাঙ্গাল ওষুধ খেতে দেওয়া হয়। মাথার তালুতে দাদের সংক্রমণ এন্টি-ফাঙ্গাল ক্রিম বা পাউডারে নিরাময় হয় না।
1 থেকে 3 মাস যে ওষুধগুলি খেলে তবে সংক্রমণ সারে, সেগুলি হল: গ্রিসেয়োফালভিন, টারবিনাফিন, ইট্রাকোনাজোল, ফ্লুকোনাজোল মাথার তালুর দাদের চিকিৎসার জন্য ওষুধ খাওয়ার সাথে সাথে সেলেনিয়াম সালফাইড এবং কেটোকোনাজোল মিশ্রিত এন্টি-ফাঙ্গাল শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
জীবনধারার ব্যবস্থাপনা
চিকিৎসার পদ্ধতিগুলি ছাড়াও নিজের জীবনধারার পরিবর্তন করেও দাদ ও একজিমা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলি বজায় রাখলে এবং দৈনন্দিন জীবনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে শরীরের অন্যান্য অংশে অথবা অন্যদের দেহে দাদের সংক্রমণ এড়ানো যায়।
সংক্রমিত স্থান স্পর্শ করার পর সাবান ও জল দিয়ে হাত ধুয়ে নিন, যাতে সংক্রমণ দেহের অন্যত্র না ছড়ায়। সংক্রামিত স্থান পরিষ্কার রাখতে বারে বারে ধুয়ে নিন।
এথলেট'স ফুট হলে সংক্রামিত জায়গা শুষ্ক রাখতে মোজা বা জুতো পড়বেন না, কারণ উষ্ণতা এবং আর্দ্রতা ফাঙ্গাসের বৃদ্ধির সহায়ক। খালি পায়ে আর্দ্র ঘরে প্রবেশ করবেন না, যেমন লকার রুম বা জনসাধারণের স্নান ঘর।
এই সব জায়গায় চটি পড়ে প্রবেশ করবেন যাতে সংক্রমণ অন্যদের মধ্যে না ছড়ায়।
পরিষ্কার এবং শুষ্ক কাপড় (বিশেষত সূতির কাপড়) এবং অন্তর্বাস পড়বেন।আপনার ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিস-পত্র অন্যদের ব্যবহার করতে দেবেন না। নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং স্বাস্থ্য সম্মত ওজন বজায় রাখুন।
"স্বাস্থ্যের কথা " বাংলা ভাষায় অনলাইন স্বাস্থ্য ম্যাগাজিন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। বিশেষজ্ঞ মানবিক চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত। নিম্নোক্ত নম্বরে বিকাশ এর মাধ্যমে দান করে চিকিৎসা গবেষণায় সহায়তা করুন; +৮৮০১৮১৩৬৮০৮৮৬।
মন্তব্যসমূহ