ঔষুধের জেনেরিক ও ব্র্যান্ড নাম কি, ডাক্তাররা কেন জেনেরিক নাম না লিখে ব্রান্ড নাম লিখেন?

ঔষুধের জেনেরিক ও ব্র্যান্ড নাম

ঔষুধের জেনেরিক ও ব্র্যান্ড নাম


জেনেরিক ওষুধে ব্র্যান্ড-নাম ওষুধের মতো একই সক্রিয় উপাদান থাকে এবং একইভাবে কাজ করে, কিন্তু দেখতে ভিন্ন হতে পারে এবং বিভিন্ন অ-সক্রিয় উপাদান থাকতে পারে। জেনেরিক ঔষধগুলি প্রায়ই ব্র্যান্ড-নাম ওষুধের তুলনায় সস্তা।

আচ্ছা বলুনতো, স্কয়ার ফার্মা দেশের শীর্ষস্থানীয় ঔষধ কোম্পানি হওয়া সত্বেও তাদের প্যারাসিটামল "এইস" বেক্সিমকোর "নাপা"র থেকে কেন কম পরিচিত ও বিক্রিত ঔষধ। কেন একমি কোম্পানির "মোনাস" কিংবা ইনসেপ্টা ফার্মার "প্যান্টোনিক্স" অন্যদের চেয়ে বেশি বিক্রি হয়!

কারন এসব সব ট্রেডনাম এর কারনে বিখ্যাত হয়েছে। এদের জেনেরিক নাম খুব কম মানুষই জানেন। কোন কোম্পানির ঔষধের নামকরণ প্রক্রিয়া বিশেষ কমিটির মাধ্যমে হয় যা ব্রান্ড বা ট্রেড নাম নামে পরিচিত। ঔষধটির মূল উপাদান যা জেনেরিক নামে পরিচিত তা ব্রান্ড নামের নিচে লিখিত হয়। একটু চেষ্টা করলে তা পড়া যায়।



জেনেরিক নাম, এসিটামিনোফান। ব্রান্ড নাম এইস।


জেনেরিক নাম, এসিটামিনোফান। ব্রান্ড নাম নাপা।

একই ঔষধের জেনেরিক (আসল) ও ব্রান্ড (ডাক। নাম) রয়েছে। প্রথমটি জাতিগত বা মূল নাম ও অন্যটি প্রস্তুতকারী কোম্পানির নাম বা ভোক্তা যে নামে কিনে থাকে।

যদি সরকারি প্রতিষ্ঠান তৈরী করে তবে সেটা জেনেরিক নামে উৎপাদন করে। বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে লাল সবুজ রংয়ের ঔষধগুলি মূলত "এসেনসিয়াল ড্রাগস" নামক সরকারি ফার্মাসিউটিকেল হতে তৈরী এবং জেনেরিক নামে রুগীদের প্রদান করা হয়।



সরকারি এসেনসিয়াল ড্রাগস কর্তৃক উৎপাদিত ঔষধ জেনেরিক নাম amoxycilin,


একই ঔষধ বিখ্যাত সানোফি কোম্পানি ফাইমোক্সিল এই ব্রেন্ডে বাজারজাত করে।


একই ব্রান্ড নামে একই দেশে দুটো কোম্পানির ঔষধ হওয়া অসম্ভব। যেভাবে অন্যান্য পণ্যের নাম ও একই দেশে দুটি হয়না।

জেনেরিক ড্রাগগুলি ব্র্যান্ড-নামক ওষুধের অনুলিপি যা মূল ওষুধ হিসাবে ঠিক একই ডোজ, উদ্দেশ্য, ব্যবহার, প্রভাব, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, গ্রহণের পথ, ঝুঁকি, সুরক্ষা এবং শক্তি একই রয়েছে। অন্য কথায়, তাদের ফার্মাকোলজিকাল প্রভাবগুলি তাদের ব্র্যান্ড-নামের অংশগুলির মতো ঠিক একই।

একটি জেনেরিক ড্রাগ, একটি উদাহরণ হল ডায়াবেটিস এর জন্য মেটফরমিন। মেটফর্মিনের কয়েকটি ব্র্যান্ডের নাম কমেট, গ্লুকোফেজ গ্লুকোমেট।(ব্র্যান্ডের নামগুলি সাধারণত জেনেরিক নামকে ভিত্তি করে হয়)।

হাইপারটেনশনের জন্য ব্যবহৃত একটি জেনেরিক ড্রাগ হ'ল মেট্রোপ্রোলল, অন্যদিকে একই ড্রাগের একটি ব্র্যান্ডের নাম লোপ্রেসর।

অনেক লোক উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে কারণ জেনেরিক ড্রাগগুলি প্রায়শই ব্র্যান্ড-নাম সংস্করণগুলির তুলনায় যথেষ্ট সস্তা হয়। তারা ভাবছেন যে কম ব্যয়বহুল পণ্যগুলি তৈরি করতে মানের এবং কার্যকারিতা নিয়ে আপস করা হয়েছে কিনা।


জেনেরিক ড্রাগস, তারা কি ব্র্যান্ড নামের মতো ভাল?

এফডিএ (ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) এর জেনেরিক ড্রাগগুলি ব্র্যান্ড-নামক ওষুধের মতো নিরাপদ এবং কার্যকর । একই ভাবে বাংলাদেশ এর সরকারি হাসপাতালে সরবরাহকৃত ঔষধ এসেন্সিয়াল ড্রাগস কর্তৃক নির্মিত , যা ব্র্যান্ডের ঔষধের মতই নিরাপদ ও কার্যকর ।

আসলে, জেনেরিক ওষুধগুলি সস্তা কারণ নির্মাতারা একটি নতুন ওষুধ বিকাশ এবং বিপণনের জন্য ব্যয় করেনি।যখন কোনও সংস্থা বাজারে একটি নতুন ওষুধ নিয়ে আসে, ফার্মটি ইতিমধ্যে ওষুধের গবেষণা, উন্নয়ন, বিপণন ও প্রচারের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে ব্যয় করে। একটি পেটেন্ট মঞ্জুর করা হয় যা পেটেন্ট কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত ওষুধ বিক্রির একচেটিয়া অধিকার প্রদানকারী সংস্থাটিকে সরবরাহ করে।

পেটেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথে, নির্মাতারা ওষুধের জেনেরিক সংস্করণগুলি তৈরি ও বিক্রয় করার অনুমতিের জন্য আবেদন করতে পারেন; এবং ওষুধের বিকাশের জন্য স্টার্টআপ ব্যয় ব্যতীত অন্যান্য সংস্থাগুলি এটিকে আরও সস্তায় তৈরি এবং বিক্রয় করতে পারে।

যখন একাধিক সংস্থাগুলি ওষুধ উত্পাদন ও বিক্রয় শুরু করে, তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও দামটিকে আরও কমিয়ে দিতে পারে।

সুতরাং একথা সত্য নয় যে জেনেরিক ওষুধগুলি নিম্ন-মানের উত্পাদিত হয় বা ব্র্যান্ড-নামক ওষুধের তুলনায় মানের দিক থেকে নিম্নমানের হয়।

আর একটি সাধারণ অবিশ্বাস হ'ল জেনেরিক ড্রাগগুলি কাজ করতে  বেশি সময় নেয়। বাস্তবে জেনেরিক ড্রাগগুলি মূল ব্র্যান্ড-নাম পণ্যগুলির মতো দ্রুত এবং কার্যকরভাবে কাজ করে।




ব্রান্ড ও জেনেরিক ঔষধের পার্থক্য


ব্র্যান্ড নাম বিষয় জেনেরিক নাম
একই সক্রিয় উপাদানএকই
উচ্চ মূল্যমূল্য ন্যায্য মূল্য
সরবরাহ সাপেক্ষ ইন্সয়ূরেন্স সমর্থন হাসপাতাল সাপেক্ষ
সরকারি পরীক্ষায় উত্তীর্ন নিষ্ক্রিয় উপাদান ভিন্ন তবে পরীক্ষা উত্তীর্ন
একই মাত্রা /ডোজ একই
সুন্দর/দামি প্যাকেট সাধারণ /সাশ্রয়ী

কখনও কখনও, ওষুধের জেনেরিক সংস্করণগুলিতে মূল ওষুধের চেয়ে বিভিন্ন রঙ, স্বাদ বা নিষ্ক্রিয় উপাদানগুলির সংমিশ্রণ থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রেডমার্ক আইন জেনেরিক ওষুধগুলিকে ব্র্যান্ড-নাম প্রস্তুতির মতো দেখতে অনুমতি দেয় না, তবে উভয় প্রস্তুতিতে সক্রিয় উপাদানগুলি অবশ্যই একই হতে হবে, এটি নিশ্চিত করে যে উভয়েরই একইভাবে ঔষধি প্রভাব রয়েছে।

একই জেনেরিক-এর ঔসুধের ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানির কি কোয়ালিটির তফাৎ রয়েছে?



বিভিন্ন ভালো কোম্পানি একই জেনেরিক ওষুধ তৈরি করতে পারে, কিন্তু তারা বিভিন্ন ফিলার উপাদান ব্যবহার করতে পারে। তাই তাদের ওষুধের শোষণের হার কিছুটা ভিন্ন হতে পারে বা বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। (ফিলার হল একটি নিষ্ক্রিয় পদার্থ যা পণ্য বড় বা পরিচালনা সহজ করতে ব্যবহৃত হয়)।

মেডিসিন শিল্প উত্পাদনে "স্টেট অফ দ্যা আর্ট" সুবিধা কি?

যদি কোনো কিছুকে অত্যাধুনিক হিসেবে বর্ণনা করেন, তাহলে বলতে হয় এটি সর্বোত্তম উপলব্ধ কারণ এটি সবচেয়ে আধুনিক কৌশল এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।

সব ঔষধের কি জেনেরিক আছে?



আছে কিন্তু সব ঔষধের জেনেরিক উৎপাদন প্রয়োজন হয়না। ঔষধের প্রয়োজন অনুযায়ী জেনেরিক ঔষধ উৎপাদন করা হয়। ধরুন আপনি পাশের বাড়ির গোয়ালা হতে দুধ কিনে খান, এটা জেনেরিক দুধ। এটা প্যাকেটহীন , সরল এবং বাড়তি স্বাদ বা গন্ধ হীন।

এই একই দুধ যখন বাজার হতে ডানো, আমূল ইত্যাদি নামের বিভিন্ন ব্রেন্ডে কিনবেন সেটা ব্র্যান্ডেড দুধ। মানুষকে আকৃষ্ট করতে এগুলো উন্নত প্যাকেট, আলাদা স্বাদ , রং ও গন্ধ মিশ্রিত হয়।

জেনেরিক ঔষধের সাথে কোন নন -ড্রাগ ঔষধ ব্যবহার হয়না যা ব্রান্ডে হয়। যেমন ডায়রিয়ার জন্য বহুল ব্যবহৃত ঔষধ সরকারি মেট্রোনিডাজল ট্যাবলেট খেতে গেলে গন্ধে অনেকের বমি আসে, কিন্তু ফ্ল্যাজিল নামের বিদেশী ব্রান্ড ঔষধের একটি সুগার কোটিং থাকে, যা এর গন্ধকে আড়াল করে ও ট্যাবলেট টি মসৃন হয় দ্রুত গেলার জন্য।

ডাক্তাররা ঔষধসমূহের জেনেরিক নাম না লিখে কোম্পানির নাম লিখতে উৎসাহী কেন?



জেনেরিক নাম লিখলে ডাক্তারের কস্ট অনেক কম হতো। ঔষধের জেনেরিক নাম শিখেই তারা ডাক্তার হয়। এরপর তাদের জানতে হয় ঔষধের ট্রেডনাম, সেটা ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের সৌজন্যে বা quick index medical practices (QIMP) জাতীয় বই পড়ে। প্র্যাকটিসের স্বার্থে হাজার হাজার ট্রেড নাম মুখস্থ হয়ে যায় একসময় কিন্তু শুধু জেনেরিক নাম লিখে কাজ হলে ট্রেডনাম মুখস্থ রাখার যন্ত্রণা থেকে বেঁচে যেতো চিকিৎসককূল।

ঔষধের জেনেরিক নাম লেখার অনেক উপকারীতা যেমন আছে, অপকারীতাও আছে।

ধরুন একজন ডাক্তার একটি ঔষধের জেনেরিক নাম লিখে রোগীর হাতে দিলেন। বাংলাদেশের রোগীরা নামকরা সেই "স্কয়ার" কোম্পানির ঔষধ ই কিনবে কেবল। চাইলে ভারতীয় ঔষধও কিনতে পারে। এতে ঐ কোম্পানির মনোপলি ব্যবসা শুরু হয়ে যাবে

'পল্লী বিদ্যুত কোম্পানি' সার্ভিস দিতে না পারলেও বিভিন্ন অজুহাতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর মতো ঐ কোম্পানির ঔষধের দাম ফি বছর বাড়তেই থাকবে।

ইতিমধ্যে নাপা সহ অনেক জরুরী ঔষধের দাম কৃত্রিম বৃদ্ধি পেয়েছে ডলারের দাম বৃদ্ধির কৃত্রিম অজুহাতে । সীমিত সংখ্যক কোম্পানির ঔষধ খুব ভালো, তা সত্বেও বলছি, বাংলাদেশের অনেক ঔষধ কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাবে।

যেমন ধরুন, এন্টিবায়োটিক তৈরির জন্য "state of the arts facility " (একটি প্ল্যান্টে নির্দিষ্ট এন্টিবায়োটিক ছাড়া অন্য এন্টিবায়োটিক বা ঔষধ তৈরি না করা) সুবিধা অনেক কোম্পানির না থাকা সত্বেও তারা সেই ঔষধ উৎপন্ন করছে, যেটা চিকিৎসক ব্যতীত রুগী বা ফার্মেসির দোকানদারের জানার কথা নয়।

দ্বিতীয় সমস্যা

অন্য কোম্পানিগুলো লোকসান দিতে থাকবে ও বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে। উঠতি ও সুন্দর এ শিল্প নষ্ট হয়ে যাবে।

তৃতীয় সমস্যা

প্রত্যন্ত এলাকার ফার্মেসীওয়ালারা ঔষধটি উক্ত "স্কয়ার " কোম্পানীর সরবরাহ নাই বলে রুগীকে মনগড়া কোম্পানির ঔষধ দেবে।

চতুর্থ সমস্যা

উক্ত "এস" কোম্পানির নিজস্ব সিন্ডিকেট থাকে যারা সিজনাল ঔষধগুলোর (যেমন এজমার ইনহেলার জাতীয় ঔষধ) সরবরাহ সরিয়ে রেখে পরে বর্ধিত দামে বিক্রি করবে।

অন্যপক্ষে

ডাক্তার ট্রেড নাম ব্যবহার করলে, অনেক কোম্পানি গিফট দিয়ে ডাক্তারকে প্রভাবিত করে থাকে। এতে পরোক্ষে ঔষধের দাম বৃদ্ধি পায়। ডাক্তারদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান স্পনসর করে, কোম্পানিগুলো। এতেও পরোক্ষভাবে ঔষধের দাম বাড়ে।

জেনেরিক নামে বিক্রিত হলে ঔষধের দাম ২০% কম হবে। কারন কোম্পানির ট্রেড নামের ঔষধ রুগী ট্রায়ালের পরে বাজারে আসে। সেটার প্যাকেজিংও ব্যয়বহুল ও আকর্ষণীয় হয়।

তাই সবচেয়ে উত্তম ব্যবস্থা হলো, গিফট নিয়ে খারাপ কোম্পানির ঔষধ লিখতে পারেন, এমন আশংকা হলে সে ডাক্তারের কাছে না যাওয়ায় শ্রেয়। বিশ্বাস ব্যাতীত চিকিৎসা মুল্যহীন। যে ডাক্তারকে বিশ্বাস করবেন না তার কাছে যাওয়াই অনুচিত।

সেক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালে যাওয়ায় উত্তম। তারা সরকার কর্তৃক সরবরাহকৃত ঔষধই লিখবেন।

প্রতিটি ডাক্তার চায় তার রুগী ভালো হোক। এতে তার চেম্বার জমবে।

রুগী ভালো হতে গেলে ভালো ঔষধ প্রয়োজন, এতটুকু জ্ঞান তার আছে।

ঔষধ কোম্পানিগুলোকে বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের নজরদারীতে থাকতে হয় ও সনদ লাভ করতে হয়। এদের নিয়ন্ত্রণের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর আছে।

হাতে গনা কয়টি কোম্পানি নিয়মিত পরিদর্শন করা ও মান নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন কিছু নয়। তারা চাইলে নিয়মিত পরিদর্শন করে মানহীন ঔষধ কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল ও শাস্তি দিতে পারে।

আমেরিকার FDA র নাম হয়তো শুনে থাকবেন, সারা পৃথিবীতে তারা বিখ্যাত ঔষধ এবং খাদ্য পরীক্ষাকরনে। তারা যেটাকে সার্টিফাই করে ঔষধ, ভ্যাক্সিন বা খাদ্যরূপে , আমরা চোখ বুঝে গ্রহন করি।

বাংলাদেশের উক্ত প্রশাসন শক্তিশালী হলে, জনগনকে অহেতুক দুশ্চিন্তা করতে হতো না। ডাক্তাররাও জেনেরিক নাম লিখে দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতো।

খালি চেম্বারে বসে মাছি মারতে কোন ভালো ডাক্তার রাজি হবেন না। সেজন্যই সে বিভিন্ন কোম্পানির ঔষধ লিখবে, যাতে তার আস্থা আছে। এই আস্থা তেরী হয় কোম্পানির দেয়া স্যাম্পল নিজে বা আত্মীয়স্বজনকে খাইয়ে এর কার্যকারীতা বোঝার মাধ্যমে।

ভুয়া কোন ঔষধ কোম্পানি যদি লাইসেন্স না পায়, যদি সবাই ভালো ঔষধ তৈরি করে, প্রশাসন নিয়মিত পরিদর্শন করে কোম্পানি গুলো, সেক্ষেত্রে একজন চিকিৎসক চোখ বুঝে ঔষধের জেনেরিক নাম লিখে দিতে পারে। এতে তার পরিশ্রম ও সময় দুটোই বাঁচবে।

ইন্ডিয়াতে জেনারিক ঔষধের দোকান আছে সরকারি ভাবে। তারা শুধু যেই কোম্পানির ঔষধের দাম সবচেয়ে কম তাই দেয়। অনেকেই বলেছে এতে নাকি প্রচুর টাকা সেভ হয় কিন্তু এই ধরনের দোকানের এভেলএভেলিটি কম। বাংলাদেশও এটা করা  যায়।কিন্তু আমাদের সরকারের উদ্যোগের অভাব রয়েছে।

সূত্রঃ সিডিসি

মন্তব্যসমূহ