আপনার সর্বদা মনে রাখা উচিত যে মিষ্টিযুক্ত পানীয় যেমন প্রক্রিয়াজাত জুস, শেক, চিনিযুক্ত চা, ক্রিমযুক্ত কফি এবং কার্বনেটেড পানীয়গুলিতে সাধারণ শর্করা বেশি এবং ক্যালোরি সমৃদ্ধ এবং নিয়মিত সেবন করলে ওজন বৃদ্ধি এবং স্থূলতা হতে পারে।¹
কিন্তু পিৎজা খাওয়ার ফলে আপনি অত্যধিক পরিমাণে স্টাফ করছেন, ফলে আপনি অনেক বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করতে পারেন, যা সময়ের সাথে সাথে ওজন বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে। একটি ১৪-ইঞ্চি পিৎজায় ২,০০০-এর বেশি ক্যালোরি থাকতে পারে, যা একজন ব্যক্তির সারা দিনে যে পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করা উচিত তার কাছাকাছি।²
সাদা ভাত খাওয়ার ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং এটি স্থূলতার একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে।³
প্রাকৃতিক ভাবে
মোটা হওয়ার
উপায়!
জিন ক্ষুধা, তৃপ্তি (পূর্ণতার অনুভূতি), বিপাক, খাবারের আকাঙ্ক্ষাকে প্রভাবিত করে। জিন অনেক উপায়ে স্থূলতার কারণগুলিতে রাখে। জেনেটিক্স বা দ্রুত বিপাকের কারণে কিছু ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবেই কম ওজনেরও হতে পারেন। কম ওজন হওয়াও খারাপ পুষ্টি বা অন্তর্নিহিত রোগা স্বাস্থ্যের অবস্থার ইঙ্গিত হতে পারে।
অনেক লোক যারা চিকিৎসাগতভাবে কম ওজনের নয় তারাও কিছু পেশী বাড়াতে এবং অন্যান্য কারণে ওজন বাড়াতে চাইতে পারেন ।
আপনার ওজন ক্লিনিক্যালি কম হোক, কেবল পেশীর ওজন বাড়ানোর জন্য লড়াই করতে চান , তবে মূল নীতিগুলি একই।
যখন আপনি ওজন বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তখনও বেশিরভাগ স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কিছু কৌশল জানা থাকলে শরীরের রসায়ন বুঝে বেশি না খেয়েও ওজন বাড়ানো যায়। যেমন,
১, একটু তাড়াতাড়ি খান,
কারণ এটি মস্তিষ্ককে 'পেট-পূর্ণ' বা 'হাউস ফুল' বলে সংকেত জানাতে শরীরের সময় লাগে। এইভাবে, যারা দ্রুত খায় তারা সহজেই পূর্ণ বোধ করার আগে তাদের শরীরের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার লোড (খেতে) করতে পারে।
২, জল একটু কম খান!
কারন তৃষ্ণার অনুভূতি ও ক্ষিধের অনুভূতির পার্থক্য মস্তিস্ক সুক্ষ ভাবে করতে পারেনা। তাই হালকা তৃষ্ণা হলে ক্ষুধা লেগেছে মনে করে খেয়ে নিন জ্বলীয় খাবার কিছু যেমন ফল, জ্যুস কাস্টার্ড ইত্যাদি।
৩,একটু বেশি সামাজিক হন
এমন মানুষজন প্রায় অন্যদের থেকে ফাও দাওয়াত পায়।
৪, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকুন
এতে ক্যালোরি খরচ কম হবে।
৫, বড় পাত্রে খান
যারা ছোট পাত্রে খায় তাদের চেয়ে বড় পাত্রে খাওয়া লোকেদের ১৬% ক্যালোরি বেশি খাওয়া হয়।
৬,টিভির সামনে খান
মাইন্ড ফুল ইটিং, এটি 'মননশীল খাওয়া' হিসাবে পরিচিত এবং এটি খাওয়াকে আরও উপভোগ্য করতে সহায়তা করে।
৭,'ক্যালোরি' পান করুন
অর্থাৎ বিএমআই অনুযায়ী ওজন অনুপাতে যত টুকু ক্যালারি প্রয়োজন সেটা তরল খাবার খেয়ে পূর্ণ করুন। যেমন দুধ, এনার্জি ড্রিংস। তাহলে প্রধান মিলগুলো বাড়তি খাবার হবে!
৮,মোটা হতে চাইলে আমিষ একটু কম খান।
প্রোটিন শরীরকে পেপটাইড ওয়াইওয়াই, জিআইপি এবং জিএলপি-১ এর মতো আরও পূর্ণতা হরমোন তৈরি করতে বলে। এটি শরীরকে ঘেরলিনের মতো কম ক্ষুধার্ত হরমোন তৈরি করতে বলে। ফলে ঘন ঘন ক্ষুধা লাগবে।
৯, ফর্দহীন বাজারে যান
এতে অনেক কিছু কেনা হয়ে যাবে। লিস্ট মানুষের বাজার অভিযানকে সংক্ষিপ্ত করে। কিন্তু ফর্দহীন বাজার খাওয়ার জিনিস কিনতে প্রলুব্ধ করে।
১০, ফল ও সবজি কম খান।
যদিও এগুলো খুব স্বাস্থ্যকর কিন্তু বেশি আশযুক্ত ও চর্বিহীন। ফলে মোটা হওয়ার সুযোগ রইল।
তবে বন্ধু এসবের পাশাপাশি জিম ওয়ার্ক টাও সেরে নেবেন। নতুবা বেশ কিছু স্বাস্থ্য ঝুকি আছে।
আর যদি স্বাস্থ্যকর উপায়ে মোটা হতে চান তবে,,,,, খাওয়ার পর জিম ওয়ার্ক, হাঁটা, দৌড়ানো ইত্যাদি কাজে অবহেলা করা যাবেনা
চিকন স্বাস্থ্য মোটা করার খাবার কোনগুলো?👉
সূত্র, 1, (নেসলে ফ্যামিলি.কম)
2, (ইটিং অয়েল.কম)
3,https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC3653247/#:~:text=White%20rice%20consumption%20causes%20an,a%20probable%20reason%20for%20obesity
মন্তব্যসমূহ