কোষ্ঠকাঠিন্য হলে আমার কী খাওয়া ও পান করা উচিত?
ডায়েটিং কি কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে? খুব কম ক্যালোরিযুক্ত খাবারকে সাধারণত প্রতিদিন ৮০০ ক্যালোরি বা তার কম হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়, তবে এমনকি ১০০০ থেকে ১২০০ ক্যালোরি পরিসরে কম ক্যালোরিযুক্ত খাবারও বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কারণে অন্ত্রের গতিশীলতাকে হ্রাস করতে পারে: কম খাবার গ্রহণের ফলে কম খাদ্য অপচয় হয়, যা হতে পারে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্রানজিট সময় এবং মল ভলিউম বা আকার কে প্রভাবিত করে। মল কম হলে নিয়মিত বাথরুম কম হতে পারে।
অনেক খাবার কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ বা খারাপ হতে দেখা গেছে। আপনার ডায়েটে পরিবর্তন করা এবং এই খাবারগুলি আপনার গ্রহণ কমিয়ে নিয়মিততা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
পর্যাপ্ত ফাইবার খান। ফাইবার ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করার জন্য প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন। ফাইবার: আপনার বয়স এবং লিঙ্গের উপর নির্ভর করে, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ২২ থেকে ৩৪ গ্রাম ফাইবার পাওয়া উচিত। বেশি বয়স্করা কখনও কখনও পর্যাপ্ত ফাইবার পান না কারণ তারা খাবারের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে।
ফাইবার বা আঁশ জাতীয় খাবার কোনগুলো =>!!!
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়
লো-কার্ব ডায়েটগুলি তাদের ওজন কমানোর জন্য বিখ্যাত কিন্তু সাথে সমস্ত অর্জন ম্লান বলে মনে হতে পারে, যদি তারা তাদের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি সঙ্গে নিয়ে আসে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য তাদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। ফাইবারের অভাব কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্যতম প্রধান কারণ। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারে দুই ধরণের ফাইবার পাওয়া যায়: দ্রবণীয় ফাইবার এবং অদ্রবণীয় ফাইবার। এক বা উভয় ধরণের সমৃদ্ধ খাবার মাঝে মাঝে এবং দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য উভয়ই উপশম করতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কোন খাবারগুলো খাওয়া উপকারী?
আমি কিভাবে আমার অন্ত্র নিয়মিত এবং নরম করতে পারি?
ঘরোয়া প্রতিকারের মধ্যে আপনার ফাইবার বা আঁশ জাতীয় খাবার গ্রহণ বাড়ানো বা রেচক গ্রহণ করা, সাপোজিটরি ব্যবহার করা বা স্টুল সফটনার গ্রহণ করা অন্তর্ভুক্ত। স্কোয়াট পজিশন চেষ্টা করা, হালকা ব্যায়াম করা বা কোলোনিক ম্যাসেজ করাও সাহায্য করতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করতে যে সমস্ত খাবার নিয়মিত খাওয়া উচিত তা আলোচনা করা হলো। তবে কি কি কারনে এটা হয় সেগুলোও জেনে রাখা জরুরি, নতুবা শুধু খাবার পরিবর্তন করে লাভ পাওয়া যাবেনা।
১, জলঃ
জলের নেশা বেশী হলে কি হতে পারে?=>
২-দুধ ও দই জাতীয় খাদ্যঃ
দইজাতীয় খাবারে প্রোবায়োটিক থাকে যা একধরনের উপকারী জীবানু। এই জীবানু সুরক্ষা দেয় ও মলকে নরম রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১৮০ মিঃগ্রাঃ দই দু সপ্তাহ খেলে দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
৩- ডাল জাতীয় শস্যঃ
মটরশুঁটি, মসুর, কিংবা কলাই এর ডাল উচ্চ আশযুক্ত হওয়ায় হজমে সহায়ক ও কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে। ১০০গ্রাম রান্না করা ডালে ২৬% আশ ও পর্যাপ্ত জিংক, পটাশিয়াম, ফলিক এসিড ও ভিটামিন বি৬ থাকে।
ডালের রঙিন গুনগুলোকে জানুন=> »
৪, স্যুপঃ
ক্লিয়ার স্যুপগুলো সহজ পাচ্য। যার ফলে আমাদের রুগীরা সহজে হজম করতে পারে। এটা ইতোমধ্যে শক্ত হওয়া মলকে নরম হতে সাহায্য করে।
৫- শুকনো ফলঃ
উচ্চ আঁশ, সরবিটল ও ফেনোলিক থাকায় অন্ত্রের গতি বাড়ায়।
৬-গমের তুষ
এটি এমন আঁশ দিয়ে তৈরী যা অন্ত্রের গতি বাড়ায়। যে সমস্ত মহিলারা আঁশযুক্ত খাবার কম খান, তাদের জন্য হুইটব্রান বা গমের খোসা কার্যকর ঔষধ। দৈনিক মাত্র ১০০গ্রাম দু সপ্তাহ সকালের নাস্তায় খেলে ক্রনিক কনস্টিপেশন ভাল হয়।
৭-ব্রকোলিঃ
এতে সালফোরাফেন আছে, যা পেটের জীবানু বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে ও হজমে সহায়তা করে। দৈনিক ২০ গ্রাম ব্রকোলি আমাদের যেকোন পেটের অসুখ ভালো করতে সাহায্য করে।
৮-তাজা ফলঃ
আপেল, নাশপতি, আঙ্গুর, কিই ফল এগুলো পানি ও আঁশযুক্ত, সরবিটল ও ফ্রুক্টোজ সমৃদ্ধ। দৈনিক ১০০গ্রাম ফল আমাদের এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি দিতে পারে।
৯-মিষ্টিআলুঃ
ফ্রাইড স্যুইট পটেটো
মধ্যম সাইজের খোসাসমেত সেদ্ধ বা বেক্ড একটি মিষ্টিআলুতে প্রায় ৪ গ্রাম আশঁ পাওয়া যায়। যা অন্য খাবারের তুলনায় বেশি উপকার করে।
১০-ভুট্টাঃ
এয়ার পপ কর্ন যা রাস্তায় ভেজে বিক্রি করা হয়, সেটিও উচ্চ আশঁ ও কম ক্যালরিসমৃদ্ধ।
এছাড়াও আরো অনেক খাদ্য ও ফল আছে যেগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্যতে আদার ব্যবহার
আদা খাওয়ার ফলে গাঁজন, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ফুলে যাওয়া এবং অন্ত্রের গ্যাসের অন্যান্য কারণগুলি হ্রাস করতে পারে।
ক্ষুধা মন্দা সহ আদার বহুবিধ গুনের কথা জানুন =>
কোষ্ঠকাঠিন্য ও হিং
হিং একটি রেচক মশলা, এটি সামান্য পরিমান পানিতে মিশিয়ে খেলে অন্ত্রের গতি বাড়ে, কোষ্ঠকাঠিন্য নির্মূল হয়।
মন্তব্যসমূহ