মাশরুম চাষ

মাশরুম চাষ

মাশরুম ও কৃষি বিজ্ঞান


২০২১ সালে ৬১টি দেশের তুলনার ভিত্তিতে, চীন মাশরুম এবং ট্রাফল উৎপাদনে সর্বোচ্চ 41,117,737 টন নিয়ে। জাপান এবং পোল্যান্ডের এরপরে।

কৃষি বিজ্ঞানীদের মতে মাশরুম একটি পুষ্টিকর সবজি। তবে সবজির মতো মাশরুম মাটিতে জন্মায় না। এটি নিম্নশ্রেণীর ছত্রাক যা পরজীবী, জীবন ধারনের জন্য এরা জৈবিক বস্তু (Organic mattor) থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করে।

ভোজ্য মাশরুম চীন, কোরিয়া এবং ইউরোপের মতো অনেক দেশে রান্নার জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে অন্যান্য মাশরুম বিষাক্ত, এবং খাওয়া হলে গুরুতর অসুস্থতা বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।আমরা ভোজ্য মাশরুম নিয়ে এখানে আলোচনা করবো।

মাশরুমের মতো স্বাদ ও স্বাস্থ্যের যুগলবন্দি খুব কম খাবারেই মেলে। এখন বাঙালির রান্নাঘরেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ব্যাঙের ছাতার এই জ্ঞাতি ভাইটি। কিন্তু বাজারে যে মাশরুম পাওয়া যায়, তা সব সময়ে ঠিক ভাবে প্রক্রিয়াকরণ করা হয় না। তাই রান্নার আগে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা জরুরি।


কেনেট স্কোয়ার, PA, বিশ্বের মাশরুম ক্যাপিটাল হিসাবে পরিচিত কারণ সমস্ত মার্কিন মাশরুমের অর্ধেকেরও বেশি এই এলাকা থেকে আসে।

🍄 মাশরুম চাষ পদ্ধতি (ঝিনুক মাশরুম)


বাংলাদেশে বর্তমানে বানিজ্যিকভাবে ঝিনুক মাশরুমের চাষই বেশি প্রচলিত। চাষীদের জন্য স্পন ভর্তি সাবষ্ট্রেট সহ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত পিপি ব্যাগ সরবরাহ করা হয়। সরবরাহকৃত এসব ব্যাগ থেকে চাষীরা ফসল উৎপাদন করে থাকেন। মোটামুটি ৫০০ গ্রাম ওজনের এসব ব্যাগের ভিতরে উৎপাদন হচ্ছে-

১. কাঠের গুড়া = ৬৪%

২. গমের ভূষি = ৩২%

৩. ধানের তুষ =৪%

উক্ত মিশ্রণের সাথে সামান্য পরিমাণ চুন এবং পানি মিশানো হয়। প্যাকেটগুলো খড়ের চাষাবিশিষ্ট বাঁশের বেড়া ও পাকা মেঝের ঘরে কাঠ ও বাঁশের তাকে সারি করে সাজিয়ে রাখতে হবে।

অত:পর ব্যাগের দুপাশে অধর্চন্দ্রাকৃত্রির করে কেটে কাটা অংশটির খানিকটা চেছে ফেলে দিতে হবে।

চাছার পর ব্যাগটি পরিষ্কার পানিতে ২১-৩০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে।

ব্যাগটি অত:পর পরিষ্কার ফ্লোর বা তারের জালির ওপর আধাঘন্টা সময় উল্টে রাখতে হবে যাতে ভেতরের বাড়তি পানি ঝড়ে যায়।

এবার চাষঘরে কাঠের ব্যাক বা বাঁশের মাচায় পরিমিত বিছিয়ে ব্যাগগুলো তার ওপর সারিবদ্ধভাবে রাখতে হবে।


২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী মাশরুম বাজারের আকার ৫০.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমান করা হয়েছিল এবং ২০২২ সালে ৫৪.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাইরের তাপমাত্রা কম থাকলে ব্যাগের উপর পলিথিন ঢেকে দিয়ে ২/৩ দিন রাখতে হবে যাতে ব্যাগের ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এ সময় ঘরের আর্দ্রতা ৮০% এবং তাপমাত্রা ২৫-৩০০ সে. হওয়া দরকার। ধারনা দিয়ে-

ব্যাগগুলোতে নিয়মিত পানি স্প্রে করতে হবে।

পলিথিন ডাকা থাকলে ৩/৪ বার ১০-১৫ মি. সময় ডাকনা সরিয়ে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।

২/৩ দিন পর ব্যাগের কাটা অংশ দিয়ে সাদা পিন সদৃশ অংশ দেখা যায়। আরো ২/৩ দিন পর মাশরুম বড় হলে সংগ্রহ করতে হবে।

অন্য দুপাশ থেকে অত:পর একইভাবে চেছে দিয়ে পানি স্প্রে করলে নতুনভাবে মাশরুম উৎপাদন হবে।

একটি মাশরুমের ব্যাগ থেকে ৩/৪ বার ফসল তোলা যায়।


"স্বাস্থ্যের কথা " বাংলা ভাষায় অনলাইন স্বাস্থ্য ম্যাগাজিন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। বিশেষজ্ঞ মানবিক চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত। নিম্নোক্ত নম্বরে বিকাশ এর মাধ্যমে দান করে চিকিৎসা গবেষণায় সহায়তা করুন; +৮৮০১৮১৩৬৮০৮৮৬।

মন্তব্যসমূহ