শুঁটকি মাছের প্ৰিয় কিছু রেসিপি
সবজিতে শুঁটকিতে স্বাদে একাকার
শুটকি মাছ হলো এমন মাছ যার বেশিরভাগ আর্দ্রতা রোদে শুকানো বা লবণ দেওয়ার মতো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপসারণ করা হয়, যা দীর্ঘমেয়াদী সংরক্ষণ এবং পরিবহনের জন্য সংরক্ষণ করে। এই সংরক্ষণ পদ্ধতিটি একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য উৎস তৈরি করে যা রেফ্রিজারেশন ছাড়াই পরিবেশগত তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যেতে পারে এবং মানব স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ এবং ভিটামিন সরবরাহ করে।
শখ করে বাসায় রান্না করি শুঁটকির তরকারি। মূলত খাবারে রুচির পরিবর্তন করতে শুঁটকি খাই। বাংলাদেশি হোটেলগুলোতে শুঁটকি থাকলেও তার আগের সেই স্বাদ হারিয়ে নেই। কীটনাশক মেশানো ভেজাল শুঁটকি ব্যবসায়ীর দাপটে প্রকৃত শুঁটকি ব্যবসায়ীর খুব অভাব।
কক্সবাজারের শুঁটকি পল্লীর বড় বড় দোকান হতে বড় আলখেল্লা, বড় দাড়ি টুপিওয়ালার শুঁটকি কিনেও ঠকেছি অনেক।
তবে ফিশারি ঘাটের থেকে কেনা শুঁটকিতে আমি পাই খাঁটি ঘ্রাণ। যেদিন স্ত্রী শুঁটকি রাঁধে সেদিন শুধু শুঁটকি দিয়েই খেয়ে ওঠার চেষ্টা করি। তাই তাকে বললাম, ‘রান্নাটা তুমি আমাকে শিখিয়ে দাও। সে বলল, এটা তো একদম সহজ। চলো হাতে-কলমে শিখিয়ে দিই। কম তেলে কয়েক প্রকার সবজি আর চিংড়ি মাছ দিয়ে আজকে আমরা রান্না করব শোল মাছের শুঁটকি।
শুঁটকি দিয়ে সবজি–চিংড়ি
রান্নার উপকরণ: আড়াই চামচ তেল। লবণ। কিছু পেঁয়াজকুচি। হাফ চামচ হলুদের গুঁড়া, দেড় চামচ লাল মরিচের গুঁড়া, আধা চামচ ধনেগুঁড়া ও আধা চামচ রসুনবাটা। ১০০ গ্রাম শোল মাছের শুঁটকি, দুটি চেপা শুঁটকি ও ৫টি মাঝারি আকৃতির চিংড়ি মাছ।
২০০ গ্রাম পরিমাণ দুটো লাল আলু। একই পরিমাণ লম্বা আকৃতির বেগুন, সিম ও কচুর মুখি। কয়েকটি লম্বা করে কাটা কাঁচা মরিচ। সবগুলো ধুয়ে শুঁটকির সমান আকৃতির করে কাটতে হবে।
দুই পদের শুঁটকি সাথে চিংড়ি মাছ
প্রথমে তেলটা কড়াইয়ে দিয়ে লবণ দিয়ে দিতে হবে। গরম হওয়ার পর পেঁয়াজ আর রসুনবাটা দিতে হবে। শুঁটকির তরকারিতে সব সময় যত কম তেল দেওয়া হয়, তত স্বাদ হয়। তারপর একে একে সব মসলা দিয়ে অল্প আঁচে কষাতে হবে। যদি কড়াইয়ের তলায় মসলা লেগে যাওয়ার উপক্রম হয়, একটু জল দেবেন। মসলা কষানো হতে হতে আলাদা একটি তাওয়াতে শুঁটকি ও চেপা শুঁটকি হালকা করে ভেজে নেবেন। মসলা কষানো হলে প্রথমে দুটি চেপা শুঁটকি আর সামান্য জল দিয়ে নাড়তে হবে। চেপা শুঁটকিকে অনেকে সিদল বলে। চেপা শুঁটকি দেওয়া হচ্ছে মূলত ঘ্রাণের জন্য।
‘এখন তো হাতে-কলমে শিখিয়ে দিচ্ছি, নিজেই রান্না করতে পারবে পাহাড়ে গিয়ে '। আবার রেসিপিতে যাই। চেপা শুঁটকির পর দিয়ে দেবেন শোল মাছের শুঁটকি আর চিংড়ি।
‘কম আগুনে কিছু সময় মসলা ও শুঁটকি জ্বাল দেওয়ার পর দিয়ে দেবেন লাল আলু। খানিক পর অন্যান্য সবজি দিয়ে আরেকটু সময় কষাবেন। এখন দেখবেন সবকিছু একটু মাখা মাখা হয়ে আসছে। তখন জল ঢেলে দেবেন। ১৫ মিনিট ঢাকনা দিয়ে রেখে দিন। তারপর কাঁচা মরিচগুলো ছেড়ে দিন। আবার ঢাকনা দিয়ে দিন। যাতে কাঁচা মরিচসহ সব ঘ্রাণ রান্নার ভেতর থাকে। আরও ১০ মিনিট জ্বাল দিয়ে নামিয়ে ফেলতে পারেন।’
এই তরকারি গরম ভাত দিয়ে খেলে খুব মজা।‘রান্নাটা আসলে রেসিপি আর মসলার সঙ্গে আপনি কতটা মন দিয়ে করছেন, সেটির ওপরও স্বাদ নির্ভর করে। শুঁটকির তরকারি আমি লেবু আর কাঁচা মরিচ দিয়ে খাই। আপনিও ট্রাই করে দেখতে পারেন।’
« Previous মাংস খাওয়া কি আমাদের নৈতিক অধিকার⁉️🔙
কোন খাওয়ার কোষ্ঠকাঠিন্য করে⁉️বিস্তারিত Next »▶️
"স্বাস্থ্যের কথা " বাংলা ভাষায় অনলাইন স্বাস্থ্য ম্যাগাজিন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। বিশেষজ্ঞ মানবিক চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত। নিম্নোক্ত নম্বরে বিকাশ এর মাধ্যমে দান করে চিকিৎসা গবেষণায় সহায়তা করুন; +৮৮০১৮১৩৬৮০৮৮৬।
মন্তব্যসমূহ